গত মঙ্গলবার পরিবারের তিনজন(Three members of the same family were electrocuted in Khardah) সদস্য বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন খড়দহে। চার বছরের টিয়ান নিজের চোখের সামনে দেখেছে সেই দৃশ্য। বাবা, মা দাদাকে হারিয়ে টিয়ান রয়েছে তার ঠাকুমার কাছে। এখনো আশায় রয়েছে সবাই আবার ফিরে আসবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের বাড়িতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট(Three members of the same family were electrocuted in Khardah)হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু ঘটে খড়দহ থানার অন্তর্গত পাতুলিয়া সরকারি কোয়াটারে। পুরো ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে থাকুমা বুলু দাস কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, নিম্নচাপের জেরে পুরো এলাকা ছিল জলমগ্ন। বেশিরভাগ এলাকার পরিবারেরা সরকারি কোয়ার্টার ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনিও সে সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন, তবে জল যন্ত্রণার কারণে তিনিও চলে যায় এক আত্মীয়র বাড়ি।
advertisement
তাঁর ছেলের রাজা সহ কয়েকটি পরিবার রয়েছে ওই এলাকায়। রাজা দাস ও তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ওই এলাকায়। দুপুরের পর টিয়ানকে ঘুম পাড়িয়ে সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি একটি টেবিল ফ্যান চালাতে গিয়ে হঠাৎ রাজাবাবু স্ত্রী পৌলমীকে কাঁপতে দেখেন(Three members of the same family were electrocuted in Khardah) । সেই মুহূর্তে রাজা বাবু মিটার বক্স বন্ধ করতে গেলেও তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। বাবা-মা কে বাঁচাতে এগিয়ে যায় ১১ বছরে ছেলে শুভ। কিন্তু নিয়তির এমন কঠিন তাকেও বাঁচানো যায় না। ঘরভর্তি জলে পরে থাকে তিনজনের নিথর দেহ।
সবটাই নিজের চোখে বসে দেখে ছোট্ট টিয়ান। চার বছরের এই ছোট্ট শিশুই বা কি বুঝবে। বেশ কিছু সময় পর টিয়ান জানালা দিয়ে পা বার করে পাশে বাড়ির লোকজনদের কাঁদতে কাঁদতে ডাকতে থাকে(Three members of the same family were electrocuted in Khardah)। এরপর সবাই ছুটে আসে ততক্ষণে সব শেষ। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ দফতরে খবর দেওয়া হয় এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিনজনের নিথর দেহ বের করা হয়।
ছোট্ট টিয়ান এখন ঠাকুরমার সাথে খড়দহের রুইয়া ভেড়ির গেট এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছে। টিয়ানের এই বছরই স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা। ভবিষ্যতে কি হবে, কিভাবে বুঝবে যে তার বাবা মা দাদা কেউই আর ফিরবে না, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ঠাকুমা বুলু দাস। এখনও আশায় বসে রয়েছে টিয়ান, হয়ত একদিন তার বাবা, মা দাদা সবাই তার কাছে আবার আসবে। কি হবে, কি ভাবে টিয়ানকে বোঝাবে,তা বুঝে উঠতে পারছে বুলু দাস।কারণ এখনো টিয়ান জানে তার বাবা,মা আসবে।
রাতুল ব্যানার্জি