বিশিষ্ট শিল্পী সুশান্ত ঘোষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই নতুন মিউজিয়ামটি। আসানসোলের মহিশিলায় শিষমহল এবং ওয়াক্স মিউজিয়াম তৈরি করেছেন তিনি। মিউজিয়ামের প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। কলকাতার মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম বা দিল্লির মিউজিয়াম এর তুলনায় অনেক কম মূল্যেই ঘুরে দেখা যাবে জায়গাটি। নিখুঁতভাবেই সমস্ত মোমের মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী সুশান্ত ঘোষ।
advertisement
পাশাপাশি বিভিন্ন সুদক্ষ কারিগরদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে শিষমহল। শিষমহল তৈরি হয়েছে রাজস্থান ঘরানায়। রাজস্থানের বিকানের থেকে নিয়ে আসা হয়েছে শিষমহল তৈরীর উপাদান। শিষমহলের ফ্লোর তৈরি করা হয়েছে কাঁচ দিয়ে। রাজস্থানের পর আসানসোলেই প্রথম কাঁচের ফ্লোরের শিষমহল তৈরি হল। স্বাভাবিকভাবেই এই মিউজিয়াম যে খুব কম সময়ে দর্শকদের নজর কাড়বে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখানে শিল্পী সুশান্ত বাবুর হাতে মোমের তৈরি একাধিক গুনিজনদের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। শিল্পী সুশান্ত ঘোষ এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন কৃতি ব্যক্তিদের পূর্ণাবয়ব মূর্তি তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন তিনি। এবার আসানসোল বাসের কে উপহার দিতে এই ওয়াক্স মিউজিয়াম কে তৈরি করেছেন শিল্পী সেখানে দেশ-বিদেশের সমস্ত গুনী ব্যক্তিরা ছাতার তলায় জায়গা পেয়েছেন। সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। ফুটবলের যাদুকর মারাদোনা। রয়েছেন অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া। তাছাড়াও মূর্তি রয়েছে সুভাষ চক্রবর্তী, উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, রোনাল্দিন, বিরাট কোহলি, সুশান্ত সিং রাজপুতের এবং আরো অনেকে।সোনার পাত দিয়ে বানানো স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তি রয়েছে সেখানে। মিউজিয়াম শিষমহলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
শিল্পী সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই মিউজিয়াম তৈরি করতে চাইছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের পরিকল্পনার পর সাফল্য এসেছে। তার সারা জীবনের সঞ্চয় এখানে খরচ করেছেন তিনি। মিউজিয়াম এবং তৈরি করতে ৩৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। পুর জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য সামান্য প্রবেশ মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
গত শুক্রবার এই মিউজিয়াম এর দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের জন্য। ধীরে ধীরে প্রচারের আলো পেলে এই মিউজিয়াম শুধুমাত্র জেলা নয়, রাজ্যের মানচিত্রেও ভালো জায়গা করে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পী এবং উদ্যোক্তা সুশান্ত ঘোষ।






