দেখুন রানু মন্ডলের পরিস্থিতি--কেমন আছেন ভাইরাল শিল্পী রানু মন্ডল
মুম্বইয়ের রঙিন আলো থেকে ফিরে এসেছেন আবারও রানাঘাটের তাঁর স্যাঁতস্যাঁতে টিমটিমে আলোর বাড়িতে (Ranu Mondal teri meri kahani)। গলির একেবারে শেষপ্রান্তে বাঁশবনে ঘেরা তার পুরোনো একটি বাড়ি। দরজায় ঝুলছে তালা, তালা খোলার অনুরোধ জানালে তিনি খুলতে নারাজ। অবশেষে দুটো সফট ড্রিংকসের শর্তে খুলে দিলেন তিনি দরজা। অগোছালো চুল, মুখের বলিরেখা ও একটি প্রাণ খোলা হাসি দিয়ে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিলেন তিনি (Ranu Mondal house in Ranaghat)। দুপুরে খাওয়ার জন্য করছিলেন বেগুন ভর্তা। তারপর অনুরোধ করলেন বাইরের কল থেকে দুই হাড়ি জল নিয়ে আসার জন্য। জল এনে দিলে পরে শুরু হল তার সাথে কথোপকথন।
advertisement
কথার মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। সব প্রশ্নের উত্তরেই ছিল অন্যমনস্কতা। দিনকাল কীভাবে চলছে জিজ্ঞেস করলে জানান, ভগবানের কৃপায় কোনরকম চলে যাচ্ছে। তবে প্রতিদিন তাঁর বাড়িতে অনেক লোকজনই আসেন তাঁর সাথে দেখা করতে। সাথে করে নিয়ে আসেন তার পছন্দমতো খাবার। রানু মন্ডলকে (Ranu Mondal tragic life) তাঁর মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। কথাবার্তা শেষ হলে ঘুরিয়ে দেখান তাঁর ঘর। স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি ঘর, যেই ঘরের দেয়ালের রং অনেকটাই চটা। টিমটিম করে জ্বলছে একটি বাল্ব। মরচে ধরা ফ্যান বিকট শব্দ করে ঘুরে চলেছে অনবরত। খাট এবং মেঝেতে অগোছালো হয়ে পড়ে রয়েছে তাঁর জামাকাপড়। তবে তাঁর আলমারির ওপর সযত্নে রাখা ছিল গান গেয়ে পাওয়া তার একটি মেমেন্টো। ওই মেমেন্টোটাই তাঁর ভাল সময়ের একটিমাত্র স্মৃতি।
বোঝাই যাচ্ছিল ভাইরাল (Viral Ranu)রানু মন্ডলের বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ। রানাঘাট থেকে মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়ে আবার রানাঘাটের সেই পোড়ো বাড়িতেই ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। যত্ন নেওয়ার মতো তাঁর পাশে তেমন আর কেউ নেই এখন। কিন্তু তবুও ভগবানের ওপর ভরসা রেখে সবসময়ই তাঁর মুখে রয়েছে একটি প্রানোজ্জল হাসি।
মৈনাক দেবনাথ