ছোটবেলায় বাবা মারা যাওযার পর বাবার পথ অনুসরণ করেই বাঁশি শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। মাকে নিয়ে অভাবের সংসার তার। নারদ বাবুর বাবাও ভালো বাঁশি (Flute) বাজাতেন এবং বাঁশি তৈরি করে তা কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রিও করতেন। বাবার কাছে অনেকেই আসতেন বাঁশি বাজানো শিখতে। আর প্রতিদিন নানা ধরনের বাঁশি বানিয়ে অর্থ উপার্জন করতেন।
advertisement
বাবার মৃত্যুর পর নারদ বাবু সেই পথ অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছেন। দীর্ঘ লকডাউনের ফলে কলকাতায় যেতে পারছেন না বাঁশি বিক্রি করতে।সে কারণে তাঁর বাড়িতে প্রচুর বাঁশি (Flute)জমেও গেছে। এদিকে বৃদ্ধা মা ৮০-র উর্দ্ধে বয়স। তাঁকে নিয়েও বর্তমানে খুবই চিন্তিত নারদ বাবু। বয়সের ভারে তিনি নিজেও বেশ ক্লান্ত। সরকারি ভাবে ১০০০ টাকা করে শিল্পীভাতা পান তিনি।
অভাবের সংসারে শরীর না চাইলেও অন্ন সংস্থানের জন্য এখনও বাঁশির ঝোলা কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতার অভাবে বাঁশি (Flute) বিক্রি হচ্ছে না। ফলে অভাবের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাঁশিওয়ালা নারদ বিশ্বাস। তারই অসহায়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ বাড়ী থেকে তুলে দেবার জন্য ভয়ও দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ নারদ বাবুর। তাঁকে ওখান থেকে তুলে দেওয়া হতে পারে এই ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ বাঁশিওয়ালা।
নিজের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই নারদ বাবু প্রশাসনকে জানাতেও ভয় পাচ্ছেন। তার অভিযোগ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন তারা যে ধনী। সেই আতঙ্কেই কুরে কুরে খাচ্ছে নারদ বাবুকে। মুখবুজে চাপা যন্ত্রনা নিয়ে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কি করবেন ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না নদিয়ার হাসখালির বাঁশিওয়ালা (Flute Artist)।
Mainak Debnath