চিকিত্সা না হলে কুকুরের প্রাণহানি হতো পারে বলে জানান ওই সংস্থার তরফ থেকে। কুকুরটির চিকিৎসা করে সুস্থ করে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সাত দিনের মধ্যে জানালেন ওই সংস্থার সভাপতি আযুসি দে। কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ এসে পৌঁছােয়। PFA সদস্যদের আটকায় এখন কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপর ওই সংস্থা আহত কুকুরটিকে নিয়ে যায় খড়্গপুর টাউন থানাতে।সেখানেই থানার সঙ্গে কথা বলে কাগজ প্রক্রিয়া ঠিক হলেই ওই সংস্থার কুকুরটি নিয়ে হুগলি উদ্দেশে রওনা দেবে।
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশিকাকে অবমাননা করে এবার কালী পুজোয় দেদারে ফেটেছে বাজি। কিন্তু সেই বাজি যে এক নিরীহ পশুর পা কেড়ে নেবে তা বুঝতে পারেননি কেউ। কে বা কারা এক কুকুরের পায়ে শব্দবাজি বেঁধে ফাটিয়ে দেয় আর তাতেই একটি পা উড়ে যায় ওই কুকুরের। ক্ষতবিক্ষত হয় গোটা শরীর। খবর পেয়ে পশুপ্রেমীরা ওই কুকুরটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা শুরু করে।
কিন্তু কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের খরিদা এলাকায়। বাজি ফাটাতে গিয়ে এইভাবে কুকুরের উপরে হামলায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে অবিলম্বে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশকে তাঁদের খুঁজে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। শহরের বেশ কয়েকজন পশুপ্রেমী আপাতত ওই কুকুরের দায়িত্ব নিয়েছে। অন্য দিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঐ এলাকার কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করেছে।