#পশ্চিম বর্ধমান: বিভিন্ন সময়ে পরিরিবেশ বাঁচাতে বিভিন্ন সংগঠনউদ্যোগ নিয়ে থাকে। করোনাকালের মহাসংকটে পরিবেশকে সুস্থ রাখার দাবি তুলে বারবার সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। তাছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বিভিন্নভাবে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ নেয়। তা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে লাগাতার ক্ষতি করে চলেন পরিবেশের।
advertisement
বর্তমানে বেআইনিভাবে মাটি কেটে পরিবেশের ক্ষতি করেন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী। যদিও এক্ষেত্রে প্রশাসনের কড়া নির্দেশিকা রয়েছে। অভিযান চালানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনায় যে রাশ টানা যায়নি, তা খুব সহজেই পরিলক্ষিত হবে পানাগড় মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের দু'পাশে চোখ রাখলেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিগত এক বছর ধরে এই এলাকার বেশ কিছু জলাশয় বেআইনিভাবে ভরাট করে দিচ্ছেন। জলাশয় ভরাট করে জমির চরিত্র বদল এর চেষ্টা হচ্ছে। বিগত এক বছর ধরে কার্যত লকডাউন এর সুযোগ নিয়েই এই কারবার চালাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পানাগড়-প্রয়াগপুর এলাকায় দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এবং পানাগড়-মোরগ্রাম রাজ্য সড়কের পাশে এমন কান্ড চলছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, ভূমি দফতরকে এই ঘটনার কথা জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত সে গুলি থেকে মাটি সরানোর কাজ হতে দেখা যায়নি। বরং উত্তরোত্তর জলাশয় ভরাট করার ঘটনা বেড়ে চলেছে। তাই তাদের আশঙ্কা, এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোন প্রশাসনের আধিকারিক জড়িত থাকতে পারেন। এই ঘটনায় পরিবেশবিদ তথা শিক্ষক দীপাঞ্জন দাস জানিয়েছেন, এ ভাবে জলাশয় ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। জমির চরিত্র বদলে যাচ্ছে। যার ফলে কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন কৃষকরা। পাশাপাশি আগামী দিনে জল সংকট দেখা দিতে পারে।
এই ঘটনার কথা কাঁকসার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে জানালে তিনি বলেন, ঘটনার কথা জানা ছিল না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তার তদন্ত হবে। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষদের দাবি, যত তাড়াতাড়ি এই অসাধু কারবার বন্ধ হয়, ততই পরিবেশের পক্ষে মঙ্গলএবং তাঁদের পক্ষেও মঙ্গল। তাই ঘটনাটির উপর প্রশাসনের নজর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।