এই মেলা তিনদিন ধরে চললেও মূলত পুজোর দিনই বেশ ভিড় হয়ে থাকে। পাশাপাশি এই মেলায় শিলিগুড়ির মানুষ ছাড়াও ভিড় জমান তরাই, ডুয়ার্স ও পাহাড় থেকে আসা বহু মানুষ। চাঁদমনি চা বাগান লাগোয়া এই মেলা বহু বছর ধরে হয়ে আসছে। এখানে একটি শিবমন্দিরকে ঘিরে মেলা হয়। ভক্তরা এসে পুজো দিয়ে মেলা উপভোগ করেন। মেলায় রকমারি খাবারের সম্ভার থেকে শুরু করে বিনোদনের নানা ব্যবস্থা রয়েছে। আট থেকে আশি সকলেই এই মেলায় এসে উপভোগ করে।
advertisement
বাংলা মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উপবাস পালন করা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অবিবাহিত মহিলারা মহা শিবরাত্রির উপবাস রাখলে তাঁদের শীঘ্র বিবাহ সম্পন্ন হয়। আবার বিবাহিত মহিলারা নিজের সুখী জীবনের জন্য মহা শিবরাত্রির ব্রত পালন করেন। সর্বাগ্রে মহিলাদের জন্য এই ব্রত বিশেষ ফলদায়ী। যদিও অনেক পুরুষও মহা শিবরাত্রির দিন পুজো ও ব্রত পালন করে থাকে।
বৈদিক পুরাণ মতে, এদিন শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। আবার ঈশান সংহিতা অনুযায়ী, এদিনই প্রকট হয়েছিলেন মহাদেব। এদিন শিব ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে বেলপাতা, দুধ, ফুল, অক্ষত অর্পণ করেন। ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও জ্যোতিষ দৃষ্টিতে মহা শিবরাত্রির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে জ্যোতির্লিঙ্গ হিসেবে শিব আবির্ভূত হওয়ায় মহাশিবরাত্রি হিসেবে এই উৎসব পালিত হয়। সকলে এই ব্রত করতে পারেন। এই ব্রত পালন না করলে ব্যক্তি দোষ ও পাপের অংশীদার হয়। মহা শিবরাত্রি আবার ব্রতরাজ নামে খ্যাত। শিবরাত্রি যমরাজের শাসন ধ্বংস করে ও শিবলোকের পথে নিয়ে যায়। শাস্ত্র মতে, যাঁরা মহা শিবরাত্রিতে রাত্রি জাগরণ করেন, তাঁরা মোক্ষ লাভ করতে পারেন।
Vaskar Chakraborty