অবশেষে বোয়ালমারী নন্দনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় এবং এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় চরের মানুষদের পরবর্তীতে টোকেন (token) পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেইমতো এদিন তাঁরা নৌকায় চড়ে তিস্তা নদী পেরিয়ে এমনকি ঠাসা বালুরচর পায়ে হেঁটে ভ্যাকসিন (covid vaccine) নিতে আসেন। আর ভ্যাকসিন (covid vaccine) নিতে পেরে অনেকটাই খুশি প্রকাশ করলেন তিস্তার চরে বসবাসকারী অনেক বাসিন্দারা।
advertisement
এরকমটাই জানালেন তিস্তার চরে বসবাসকারী ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব নিমাই বিশ্বাস ও দশরথ সরকাররা। তাঁরা বলেন, 'তিস্তা নদীর চরের শুকনো বালুর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে তারপর নৌকায় চড়ে অনেকটাই কষ্টের মধ্য দিয়ে এসেছি ভ্যাকসিন নিতে।' ছাতা মাথায় ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা আরও বলেন, 'প্রচন্ড রোদ এবং শুকনো বালুরচর পায়ে হেঁটে ক্লান্ত হলেও ভ্যাকসিন নিতে পেরে অনেকেটা স্বস্তি পেলাম।'
এ ব্যাপারে বোয়ালমারীর নন্দনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিমেল মাল্টিপারপাস স্টাফ অনুপমা সরকার বলেন, 'বাহিরচরের বেশ কিছু মানুষ কয়েকদিন আগে ভুলবশত টোকেন ছাড়াই ভ্যাকসিন নিতে এসেছিল। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে ভ্যাকসিনের নির্দিষ্ট তারিখগুলিতে চরের মানুষদের ভ্যাকসিন (covid vaccine) দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'