কিন্তু এতকিছুর পর ক্ষৌরকারদের দাবি, শর্তসাপেক্ষে কিছুটা হলেও সেলুন খুলে রাখতে হবে, নয়তো তাঁরা পেটের অন্য জোগাড় করতে পারবেন না। ক্ষৌরকার সমিতির তরফে জেলা শাসককে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল এই দাবিতে। অবশেষে তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে শর্তসাপেক্ষে খুলে গেল সেলুন (Salon and beauty parlour open order)। তবে সঙ্গে রয়েছে বেশকিছু নিয়ম। যা পালন করতে হবে সেলুন মালিক থেকে শুরু করে ক্ষৌরকর্মের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই।
advertisement
ক্ষৌরকারদের দাবি মেনে শনিবার নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকা অনুযায়ী রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে সেলুন। তা অবশ্যই ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে। এছাড়াও সেলুনে সকল কর্মীদের টিকার দু'ডোজ নেওয়া আবশ্যিক, তাছাড়া কাজ করার অনুমতি মিলবে না। এদিকে সেলুন ও সেলুন চত্বর নিয়মিত স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে (Salon and beauty parlour open order)।
দেশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারের তরফে। এদিকে বেশ কয়েকদিন পর চুল-দাড়ি কাটতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে চলতে পারবে এই পরিষেবা। এই নির্দেশকে পূর্ণ সমর্থন করেছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির ক্ষৌরকাররা। শিলিগুড়ির শালবাড়িতে ছোট একটি সেলুন রয়েছে ছোটেলাল শা'র। তিনি বলেন, "এমনিও এই ট্রিমার (trimmer) এর যুগে মানুষ সেলুনে আসতে চায় না। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্লেড (blade) ও কাঁচির ধার। তবে এখনও মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু, সবেতেই ডাকা হয় আমাদের"।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্ষৌরকর্মী জানান, "বিগত দেড় বছরে অনেক লোকসান হয়েছে। ফের ক্ষতির মুখ দেখতে হবে ভেবেই সবার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার ফের নিয়ম মেনে সেলুন খোলার নির্দেশ দিয়েছে। এটা যথেষ্ট প্রশংসনীয়"। চুল কাটাতে এসেছিলেন বিভাস মণ্ডল। তিনি বলেন, "অফিসে মুখভর্তি দাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর চুল দাড়ি কেটে বেশ ফ্রেশ (fresh) লাগছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে আমি খুশি"।
Vaskar Chakraborty