স্ত্রী এবং সঙ্গী রত্নাদেবীকে হারিয়ে একপ্রকার ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বেশিদিন কাটেনি স্ত্রী বিয়োগের, তাঁর স্মৃতি ঘিরে ধরেছে প্রবীণ নেতা অশোককে। ভোটদানে এসে যেন আবেগঘন হয়ে পড়লেন বর্ষীয়ান বাম নেতা। একা এই প্রথম ভোট দিলেন রত্নাদেবীকে ছাড়া, জানিয়ে যেন কালো মেঘ জমল তাঁর চোখের কোণে। স্ত্রী ও দলের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তাঁকে করে দিয়েছিল আরও আবেগী।
advertisement
তিনি নিজেকে সামলেই আমাদের বললেন, 'শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বজায় থাকবে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক কালচার। এই প্রথম একা ভোট দিতে এলাম।' ব্যস, কিছুক্ষণ সব চুপ। চোখ ছলছল করছিল, তা বেশ বুঝতে পারছিল সকলেই।
এদিন তিনি ভোট দিতে এসেছিলেন নেতাজী বয়েজ হাইস্কুলে। সেখানে আবেগে ভাসলেন প্রাক্তন মেয়র তথা দীর্ঘদিনের এই বাম নেতা। তাঁর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য, জীবনসঙ্গীর পাশাপাশি ছিলেন রাজনৈতিক দিক থেকে তাঁর পাশে। এবার নতুন মুখের পাশাপাশি প্রার্থীপদে ছিল অশোক ভট্টাচার্যের নাম। রত্নাদেবী বরাবর স্বামীকে সাহস জুগিয়েছেন। স্ত্রীর পাশাপাশি ছিলেন তিনি অশোকবাবুর পরমপ্রিয় বন্ধু।
আবেগের সুরেই তিনি বলেন, 'স্ত্রীর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়েই এসেছি ভোট দিতে। এই প্রথম স্ত্রীকে ছাড়া একা এসে ভোট দিলাম। রত্না আজ বেঁচে থাকলে খুব খুশি হত।' নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক বলে মনে করছেন তিনি। তিনি আশাবাদী, বামকেই বেছে নেবে শিলিগুড়ি।