2020 এর 23 শে মার্চ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ঘোষিত লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত কর্মক্ষেত্র। মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফ থেকে। ফলে দেশজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে থাকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বানানোর কারখানাগুলি। কাজ হারানো মানুষগুলোও পেশা হিসেবে বেছে নেন রাস্তা বা ছোটখাটো গুমটিতে মাস্ক বিক্রিকে।
advertisement
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ভালোই চলছিল মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবসা। প্রথমদিকে যোগান কম থাকায় হাওড়ায় একেকটি N95 মাস্ক বিক্রি হয়েছিল 450 থেকে 500 টাকায়। 5 টাকা থেকে লাফিয়ে সোজা কুড়ি টাকায় পৌঁছেছিল সার্জিক্যাল মাস্কের দামও।
সংক্রমনের সংখ্যা কমায় মাঝে ভাটা পড়েছিল এই ব্যবসায়। মন্দার ফলে অনেকেই হাত গুটিয়েছিলেন এই ব্যবসা থেকে। এই বছর এপ্রিলে দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আশায় আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই ব্যবসা। আবারও রাস্তার ধারে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক মাস্ক ও স্যানিটাইজারের দোকান। হাওড়া জেলা জুড়ে এই ছবি সর্বত্রই আবার ফুটে উঠেছে।
এবিষয়ে হাওড়া ময়দানের মাস্ক বিক্রেতা শিব দত্ত জানান, আগে তিনি লোকাল ট্রেনে হকারি করতেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় মাস্ক বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। মাঝে ট্রেন চালু হওয়ায় আবার আগের পেশায় ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসায় ফের এই ব্যবসাতে ফিরেছেন। তিনি জানান, "আগের বছর প্রথমদিকে যোগান কম থাকায় বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছিল মাস্ক ও স্যানিটাইজার। তখন লাভও হচ্ছিলো অনেকটাই বেশি। এই বছর দাম একটু কমেছে। গত বছর যে সার্জিকাল মাস্ক কুড়ি টাকা, পঁচিশ টাকায় বিক্রি করেছিলাম এই বছর তা বিক্রি হচ্ছে দশ থেকে পনেরো টাকায়।" তবে লাভ কমলেও বিক্রি যে ভালোই হচ্ছে জানালেন তিনি।
Santanu Chakraborty