এই বিষয়ে পূর্ব রেলের ( Eastern Railway) হাওড়া ডিভিশনের ডি.আর.এম সুমিত নারুলা জানান , রেলের আয় বাড়াতেই সংগ্রহশালাকে বাণিজ্যিক কাজের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। মিউজিয়ামের যে ফাঁকা অংশটি আছে সেই অংশটিই ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে। এই বিষয়ে অনুমতিও মিলেছে সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফ থেকে।
ভারতীয় রেলের এই সংগ্রহশালায় রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী বহু পুরনো রেলের বিভিন্ন মডেলের স্টিম ইঞ্জিন , রেল লাইন , সিগন্যালিং সিস্টেম , চাকা ও বহু পুরানো যন্ত্রাংশ ও বিভিন্ন মডেলের রেলওয়ে কোচ। রয়েছে ট্রেনের অনেক দুষ্প্রাপ্য ছবি , সেলুন কার এমনকি একটি ট্রয় ট্রেনও।
advertisement
যদিও এই বাণিজ্যকরনের জন্য ভারতীয় রেলের ঐতিহ্য অনেকটাই ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রতিবাদে লেখালিখিও করছেন অনেকে। পাশাপাশি সামাজিক অনুষ্ঠানে জোরে গান বাজনা চালানো হলে ও সেখানে লোক সমাগম হলে ভিতরের বাগান ও সংগ্রহশালার স্থাপত্যগুলির ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন অনেকে। যদিও এই বাণিজ্যিকরণের অন্যতম কারণ হিসেবে, লকডাউনের ফলে ট্রেন বন্ধ থাকায় ক্ষতির পরিমাণও দর্শানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা রেলের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও । এই বিষয়ে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী ও মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্রী অরূপ রায় , কেন্দ্রের এই সরকারকে "বেচারাম সরকার" বলেও আখ্যা দেন। রেলের এতো কি অর্থের প্রয়োজন যে মিউজিয়ামকে ভাড়া দিতে হবে, বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি, রেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Santanu Chakraborty