পরিবেশ দূষণ ও বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বারে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। আয়লা, আমফান, ইয়াস ঝড়ের তান্ডব তারই প্রমাণ। আশার কথা বৃক্ষ রোপনের জন্য সচেতনতা বেড়েছে। সরকারী বৃক্ষ রোপনের বাৎসরিক কর্মসূচি গত ১৪-২০ জুলাই শেষ হবার পর এখন সারা জেলা জুড়ে আরো বেশি বেশি এই কাজে নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠন যুক্ত হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হাওড়া জেলা সম্পাদক পার্থ ঘোষ, আহ্বায়ক শঙ্কর মুখার্জি, পথসভার সভাপতি অসীম ব্যানার্জি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের মূল সুর ছিল একই । শুধু বৃক্ষ নিয়ে গেলেই হবে না , ঠিক মত রোপন করতে এবং কম করে এক বছর এগুলোর পরিচর্যা করতে হবে । সংগঠনের উদ্যোগে এক বছর বাদে এগুলোর অডিট করা হবে এবং গাছগুলোর রোপন ও পরিচর্যা কারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
advertisement
এদিনের এই অনুষ্ঠানে হাওড়া যৌথ পরিবেশ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্দীপ বাগ, সম্রাট মন্ডলের মতো পরিবেশপ্রেমীরা । যৌথ পরিবেশ মঞ্চের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সন্দীপ বাগ। তিনি বলেন, \"গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে এই ভাবনাটা আসে। ইংরেজরা এদেশে নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস করেছে এবং বন্যপ্রাণী হত্যা করেছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিক নগর গঠন ও কল-কারখানার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত অরণ্য ধ্বংস, নদী নালা ধ্বংস হচ্ছে। এই সাঁতরাগাছি স্টেশন ও সংলগ্ন অঞ্চল এক সময় প্রবাহমান সরস্বতী নদীর অংশ ছিল। সাঁতরাগাছি ঝিল সেই নদীর অংশ। ভারতের প্রাচীন জীবণ দর্শনে মানুষ প্রকৃতির অধীনে জীবনধারণ করত। রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই বৃক্ষ রোপনের প্রয়োজনীয়তা ভেবে শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল ও বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। আমাদের সেই ভাবনার শরিক হতে হবে। এখানে সাঁতরাগাছি ঝিল যাতে সারাবছর পরিষ্কার থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।\"
সাঁতরাগাছি ঝিল বাঁচাও কমিটির সদস্য গৌতম পাত্র জানান, ঝিলটি বাঁচাতে পদযাত্রা, স্থানীয় স্তরে সচেতনতা গড়ে তোলার একাধিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , বাকসাড়া স্পোর্টস একাডেমির কর্ণধার অলোক চ্যাটার্জি , বিশিষ্ট পরিবেশ প্রেমী কমলিকা ভট্টাচার্য, মঞ্জু ঘোষাল, কাকলী মুখার্জী প্রমুখরা।