যদিও বাকি জেলার মতোই হাওড়ার করোনার গ্রাফে দৈনিক সংক্রমণের হ্রাস চোখে পড়ার মতো। লকডাউনের মধ্যেই হাওড়ার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো প্রায় ১৪০০ ছুঁইছুঁই । এক্টিভ রোগীর সংখ্যা পার করেছিল আটহাজারের গণ্ডি। সেখানে বর্তমানে জেলার দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে সাড়ে তিনশোর আশেপাশে। এক্টিভ রোগীর সংখ্যাও দ্রুতগতিতে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০০- র কাছাকাছি।
ডাক্তাররা অবশ্য এই সংখ্যা হ্রাসের কারণ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন ক্রমাগত প্রচার মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের প্রভাব পড়ছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফে। আবার ডাক্তারদের অনেকেই মনে করছেন, ভ্যাকসিনেশনের সংখ্যা বাড়ালে মানুষের ইমিউনিটি বাড়ার সাথে সাথে কমবে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ।
advertisement
রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণের এই হ্রাসকে আবার সম্পূর্ণ অন্যভাবে দেখছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সুব্রত চন্দ্র। তার কথায়, স্বাভাবিক নিয়মেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশের পাশাপাশি রাজ্যে কমছে করোনা সংক্রমণের দৈনিক হার। যেকোনো প্যানডেমিকের ক্ষেত্রেই গ্রাফ সর্বোচ্চ পিকে ওঠার পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি। একবার সর্বোচ্চ পিকে ওঠার পর বেশ কিছুদিন সময় লাগে আবার নতুন করে পিকে উঠতে। ফলে ভারতবর্ষে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সাথে সাথেই যে স্বাভাবিকভাবে রাজ্যে আবারও বাড়বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একথাও নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।
তবে এর থেকে বাঁচার উপায় কি? প্রশ্ন করায় তিনি জানালেন, "সরকারকে যতো দ্রুত সম্ভব অন্তত সমগ্র দেশবাসীর অর্ধেকের বেশি মানুষকে ভ্যাক্সিনেটেড করতে হবে। পাশাপাশি এখনও জোর দিতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনে।" সরকার ও সমাজসেবী সংগঠনগুলি যাতে আরও বেশি করে জনসাধারণকে করোনা তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে সচেতন করে, তার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
শান্তনু চক্রবর্তী