দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের দিকে নজর রেখে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এই বছর সমস্ত বাজি বন্ধের নির্দেশ দেয় । পরে বাজি প্রস্তুতকারকরা সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেখানে কেবল মাত্র গ্রিন বাজিগুলি ফাটানোর জন্য দীপাবলীর দিন সন্ধে আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয় (firecracker ban) । পরে হাইকোর্টের নির্দেশেও সেই রায় বহাল থাকে । এই নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকেও নির্দেশিকা জারি করা হয় । সপ্তাহ খানেক ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার বেআইনি বাজি আটক করে হাওড়া সিটি পুলিশ । বেআইনি বাজি বিক্রি করার অপরাধে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয় ।
advertisement
কিন্তু এত কিছুর পরেও প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত অবজ্ঞা করেই করোনা আবহে যেভাবে একশ্রেণীর মানুষ বাজি ফাটালেন তাতেই বেজায় হতাশ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জেলার পরিবেশপ্রেমীরা (firecracker burning)। এই বিষয়ে হাওড়া পরিবেশ সমন্বয় মঞ্চের সদস্য সম্রাট মন্ডল জানান , " দূর্গাপুজোর পর থেকেই করোনা পরিস্থিতিতে বাজি ব্যবহারে যাতে পরিবেশ আরও বেশি দূষিত না হয় তার জন্য নানাভাবে প্রচার চালানো হয় । পাশাপাশি কালীপুজোর রাতে টিম করে হাওড়া শহরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় নাগরিক নজরদারিও চালানো হয়েছে । কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে হাজারো নজরদারিও পরিবেশ রক্ষায় কোনো কাজই করতে পারবে না । " তবে পরিবেশ সচেতনতায় এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ তিনি (firecracker ban) । আজও বেআইনি বাজির বিরুদ্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে নজরদারি চালানো হবে এবং দরকার পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি ।
Santanu Chakraborty