কী ভাবে এই স্বপ্নের দৌড় শুরু হয় শুভ পালের তা জানতে ফিরে যেতে হবে ২০১৬ তে। সেই বছর বেঙ্গালুরু এফসির অনুর্ধ ১৩ দলে ডাক পড়ে শুভ পালের। কিন্তু কোনো কারণে সেইবছর বেঙ্গালুরু দলের সাথে যোগ দেওয়া হয়নি তার। পরের বছর ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লির সুদেবা এফসির অনূর্ধ্ব ১৩ দলে ট্রায়াল দিয়ে দুটি ক্লাবেই সুযোগ পায় শুভ। যদিও দল হিসেবে সে বেছে নেয় সুদেবা এফসিকেই। এরপরই ফুটে উঠতে থাকে তার প্রতিভা। ২০১৯-২০ মরশুমে AIFF লিগে ১৪ টি গোল করে আলোড়ন ফেলে দেয়। এই মরশুমে ডাক পায় আই লিগের সুদেবা এফসির বড়োদের দলে। মোট আটটি ম্যাচ খেলে দু টি গোল করে আইলিগের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার হিসেবে নজিরও স্থাপন করে শুভ। চলতে থাকে তার স্বপ্নের দৌড়।
advertisement
বায়ার্ন মিউনিখে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিভাবান ফুটবলারদের ট্রায়াল দেওয়া হবে, জানার পরই পরিশ্রমের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় শুভ। জোর দেয় নিজের দূর্বল জায়গা গুলোয়। ধীরে ধীরে নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়তে থাকে সে। এর ফলও মিললো হাতে নাতে। সারা বিশ্বের সাড়ে ছশো এরও বেশি ফুটবলারদের ফুটবল স্কিল ও স্টামিনার মধ্যে থেকে প্রথম ১৫ এ স্থান হয় হাওড়ার সলকিয়ার এই যুব প্রতিভার। শুভর এই সাফল্যে খুশির হাওয়া দাদা রাজু পাল , তার ছোটবেলার কোচ চিমা ওকেরি, তপন কর্মকারসহ পরিবার পরিজন ও সালকিয়াবাসীদের মধ্যে। স্বপ্ন দেখতে জানলে যে কোনোকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না তা আরও একবার প্রমাণ করলো হাওড়ার এই প্রতিভাবান ফুটবলার।
Santanu Chakraborty