সালটা ২০২০। হঠাৎই একটি শব্দ সকলের সামনে উঠে এলো, তা হল করোনা বা কোভিড। শব্দটি শুনলেই এখন যেন আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে সকলের চোখ-মুখে। সংক্রমণ থেকে আক্রান্তের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ এমনকি মৃত্যু মিছিল, সবটাই কেমন যেন খোলামেলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সামনে। তবে এই অন্ধকারেও বারংবার আমরা করোনাযোদ্ধাদের বিভিন্নরূপে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে দেখে আসছি। তা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোক বা রাজনৈতিক কোন দলের কর্মকর্তারা, কিংবা ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা, এমনকি পুলিশ প্রশাসনের করোনাকালের যুদ্ধকে প্রশংসা না করলে ভুল হবে।
advertisement
করোনাকে আঁকড়ে একটা বছর পেরিয়ে এসেছি আমরা। তবে আর্তদের আর্তনাদ কিন্তু ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় লকডাউন, অনেক মানুষকে কর্মহীন করে তুলেছে। ফলে অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হচ্ছে প্রচুর পরিবারকে। সেই পরিবারদের কথা ভেবে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালো রাজ্যের শাসকদলের যুব সংগঠন। এদিন শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির পাশাপাশি তৃণমূল যুব ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে \'কমিউনিটি কিচেন\'-এর উদ্বোধন করা হয়। এদিন ২৬ নং ওয়ার্ড তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেই কর্মসূচিতে ২০০ দুঃস্থদের ভাত ও ডিমের ঝোল রেঁধে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এদিন ২৬ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অঙ্কুর দাস বলেন, \'করোনার এই কঠিন সময়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা আগেও এগিয়ে এসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হল না। এদিন আমরা কমিউনিটি কিচেনের উদ্বোধন করলাম। আশা করি সকলকে সাহায্য করতে পারব।\'
অন্যদিকে, ২৬ নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাবাই বসু রায় বলেন, \'আমরা আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে যা সাড়া পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। দলের সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাড়া যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তৃণমূল কংগ্রেস আগেও যেমন মানুষের সঙ্গে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।\'
এবিষয়ে দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কুন্তল রায় বলেন, \'আমরা শুধু রাজনৈতিকগত ভাবেই নয়, বিভিন্ন সময়ে মানবিকতার তাগিদে মানুষের কাছে পৌঁছে যাই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুব তৃণমূল মানুষের সঙ্গে ছিল আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।\'
পাশাপাশি এদিন শহরের ৩৫ নং ওয়ার্ডে কোভিডউইন সহায়তা শিলিগুড়ির পক্ষ থেকে ২০০ পরিবারের হাতে শুকনো খাবার প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে শিলিগুড়ির কলেজপাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এবং কলেজপাড়া পুজো কমিটির যৌথ উদ্যোগে কলেজপাড়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জীবাণুমুক্তকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কোভিডবিধি মেনে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের শহরজুড়ে বিভিন্ন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন গোটা শহরবাসী।