আংশিক লকডাউনের নির্দিষ্ট সময়সীমার বাঁধনে ক্ষতিগ্রস্থ বৃহত্তর ঠাকুরনগরের ফুল বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতারা। করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এর সময়সীমা আগামী একজুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে রাজ্যের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ফুলবাজার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ফুল বাজারের ফুল চাষী, ক্রেতা এবং বিক্রেতারা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সরকারি বিধি অনুসারে সকাল সাত টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকায় ফুল বিক্রি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সমস্যা হল ফুল পচনশীল হওয়ায় বিক্রি না হওয়া ফুল হিমঘরে রাখলে বিক্রির অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সকাল বেলায় নির্দিষ্ট টাইম এর মধ্যে একেবারেই নামমাত্র দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, প্রথম দিনে বিক্রি না হওয়া ফুল পরের দিন ক্রেতারাও ফুল কিনতে চাইছেন না। চাষীদের আবেদন, সরকার যদি তাদের বিক্রির সময়সীমা নিয়ে একটু ভাবেন, আরো দুই ঘন্টা ফুল বাজার খোলা থাকলে কৃষকদের ফুল বিক্রি করতে সুবিধা হবে।
advertisement
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ইলা বাগচী, গাইঘাটার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় সেনাপতি, সহ গাইঘাটা থানার আধিকারিক বলাই কুমার ঘোষের তত্ত্বাবধানে ঠাকুরনগর ফুল বাজার পরিদর্শন করে,ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন এবং সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। গাইঘাটা ব্লকের আধিকারিকরা কৃষকদের আশ্বস্ত করেছেন,বিষয়টি তারা ভেবে দেখবেন। পাশাপাশি এদিন সরকারি আধিকারিকেরা ফুলক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেন এবং ফুলবাজার চলাকালীন সরকারি বিধিনিষেধ নিয়ে জনসচেতনতা গড়তে অনবরত মাইকিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে বাজারঘাট।
ফুল ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের আশ্বস্ত করে সহ-সভাপতি ইলা বাগচী বলেন, আমরা সহানুভূতির সঙ্গে ফুল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলের অবস্থার কথা বিবেচনা করা হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। আমরা চাই বৃহত্তর ঠাকুরনগর ফুল বাজার আবার স্বমহিমায় ফিরে আসুক। এখন দেখার সরকার ফুল বিক্রেতাদের কথা শুনে নির্ধারিত সময় বাড়াতে পারে কিনা। সেদিকেই তাকিয়ে ঠাকুরনগরের ফুল বিক্রেতারা।