পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বাবুয়া মল্লিকপাড়া এলাকায় বাঘ আতঙ্কে ঘরের দরজা বন্ধ করে এলাকাবাসী। ভয়ে জড়সড়ো হয় শিশু থেকে বড় সকলেই। শনিবার সকালে গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দুয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় ওই বাঘ সদৃশ্য প্রাণীটিকে। পরে ওই ব্যক্তির ঘরের ভেতর লুকিয়ে পড়ে। যা দেখে আতঙ্কে পড়েন ওই বাড়ির লোকজন সহ এলাকাবাসী। গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন ভোরের আজান এর জন্য তিনি বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু মূল দরজা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। কিভাবে এই বাঘ সদৃশ্য প্রাণীটি তার ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলো তা জানা যায়নি। বাড়ির দুয়ারে বাঘ সদৃশ্য প্রাণীকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবারের লোকেরা। এলাকাবাসী জড়ো হয় গোলাম মোস্তাফার বাড়ির সামনে। প্রাণীটি দুয়ার থেকে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। সাতসকালেই বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কোলাঘাটের বাবুয়া গ্রামে। সচেতন এলাকাবাসী চেষ্টায় প্রান বাঁচে বাঘ সদৃশ্য প্রাণীর।
advertisement
সচেতন গ্রামবাসী খবর দেয় বনদপ্তরে। খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মী সহ পুলিশ এলাকায় এসে বাড়ির ভেতর আশ্রয় নেওয়া ওই বাঘ সদৃশ প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। ঘরের ভেতর ঢুকে জাল পেতে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে আসে ঐ প্রাণীটিকে। খাঁচায় বন্দী করে নিয়ে যায় বনদপ্তরের কর্মীরা। বনদপ্তরের কর্মীরা জানান বাঘের মতো দেখতে এই প্রাণীটি আসলে বাঘরোল। বন্যপ্রাণী আইনে বাঘরোল সংরক্ষিত প্রাণী। ২০০৮ সালে বিপন্ন প্রানীর তালিকায় চিহ্নিত বাঘরোল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাঘরোল সংরক্ষণ ও প্রজাতির বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের জাতীয় পশুর আখ্যা দিয়েছে। তারপর থেকেই বাঘরোল বাঁচাতে তৎপর রাজ্য বনদপ্তর। সাধারণত নদী তীরবর্তী ও জলাশয় এলাকায় এই প্রাণীর দেখা মিলে। বনদপ্তর এর লাগাতার প্রচারের ফলে বাঘ আতঙ্কে বাঘরোল এর ওপর আক্রমণ কমেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি কয়েকদিন আগে হলদিয়ার বাঘরোলের দেখা মেলে।