#বীরভূম: করোনা সংক্রমণ আর লকডাউন, এই দুয়ের যাঁতাকলে পরে আর্থিক অনটন, দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটছে বীরভূমের বাউল শিল্পী থেকে অন্যান্য শিল্পীদের। যেখানে তাদের অর্থ যোগানের মূল মাধ্যমই হলো গান বাজনা, সেই জায়গায় কাজ বন্ধ প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। আর এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বিশেষ করে বীরভূমের বাউল শিল্পীরা সরকারি সাহায্যের আবেদন করেছেন।
advertisement
বাউল শিল্পীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর যখন থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় থেকে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য স্বল্প সংখ্যক দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতি মিললেও ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, বোলপুরের শান্তিনিকেতনের বাউল শিল্পীদের আয়ের মূল উৎস নির্ভর করে পর্যটকদের উপর। কিন্তু তাও এই সংক্রমণ এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বোলপুর শান্তিনিকেতনে এখন পর্যটক সংখ্যা হাতেগোনা। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে তা নেই-ই।
নিজেদের কিভাবে দিন কাটছে তা আমাদের জানিয়েছেন বোলপুরের বাসুদেব দাস বাউল। এই বাসুদেব দাস বাউল যার বাড়িতেই ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন এবং যাঁকে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাতেও। তিনিও যে আজ ভাল নেই, তা তার কথাতেই স্পষ্ট।
বাসুদেব দাস বাউল জানিয়েছেন, "আমাদের মত যাঁরা গান বাজনা নিয়ে থাকেন তাঁদের প্রত্যেকেরই অবস্থা খুব খারাপ। আর এই সকল শিল্পীদের মধ্যে আবার বাউল শিল্পীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে এই ভাবেই আমরা দিন কাটাচ্ছি। সেই ভাবে কোন সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না। সরকারি সাহায্য বলতে মাসে হাজার টাকা বাউল ভাতা। কিন্তু এই হাজার টাকায় তিন সদস্য অথবা চার সদস্যের একটা সংসার চালানো অসম্ভব।"
পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন, "আমাদের এই বর্তমান নুন আনতে পান্তা ফুরায় শোচনীয় অবস্থা থেকে বের করতে পারে একমাত্র সরকারি উদ্যোগ। তাই আমাদের আকুতি যেন সরকার আমাদের দিকে তাকায় এবং আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।"