কল্যানেশ্বরী মন্দির জেলাবাসীর কাছে অত্যন্ত পরিচিত। এখানে বহু দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন পুজো দিতে। উপভোগ করতে আসেন মন্দিরের পরিবেশ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর আসানসোলে অবস্থান কল্যানেশ্বরী মন্দিরের। বহু প্রাচীন মন্দিরের কোনও রূপ বদল হয়নি দীর্ঘদিন। মন্দিরের পেছনের দিকে রয়েছে একটি পাহাড়ি ঝর্ণা। যা পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। বর্ষায় এই পাহাড়ি ঝর্ণায় জল প্রবল বেগে পতিত হয়। তবে শীতকালে ঝর্ণার জল অনেকটা কমে যায়। পুজোর সময় অক্টোবর মাসে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও একটি বড় মাপের ঝর্ণা আপনি দেখতে পাবেন কল্যানেশ্বরী মন্দিরে ঘুরতে এসে।
advertisement
কল্যানেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যও সুব্যবস্থা রয়েছে। মঙ্গল ও শনিবার পুজো দেওয়ার জন্য প্রচুর ভক্ত ভিড় জমান। তাছাড়াও বিশেষ বিশেষ তিথিতে ভক্ত সমাগম হয়। পুজোর সময়ও প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। তাই করোনার জেরে এই বছর যদি দূরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা না থাকে, তাহলে একবেলায় টুক করে ঘুরে আসতে পারেন কল্যানেশ্বরী মন্দির। ট্রেন, বাস ও নিজের গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কল্যানেশ্বরী থেকে। চাইলে কল্যানেশ্বরী মন্দিরের কাছে ঘাঘরবুড়ি মন্দির থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। প্রচলিত রয়েছে ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো পেয়ে আসছেন দেবী চণ্ডী। এও বলা হয়, ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে পুজো না দিলে কল্যানেশ্বরী দর্শন সম্পন্ন হয় না। পুজোর সময় একটা ছুটির দিন কল্যানেশ্বরী মন্দির থেকে কাটিয়ে আসতে পারেন। আসানসোল স্টেশন থেকে বাস, অটো বা গাড়িতে আধঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন কল্যানেশ্বরী মন্দির। তাছাড়াও দুর্গাপুর থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে কল্যানেশ্বরী ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মন্দিরের আশপাশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হোটেল রয়েছে। খাওয়ার হোটেলও পেয়ে যাবেন মন্দিরের কাছাকাছি। তবে কলকাতা হোক বা দুর্গাপুর, একদিনেই ঘুরে আসা যায় কল্যানেশ্বরী মন্দির থেকে। তবে পুজোর সময় ছুটিতে দু-তিন দিন বাইরে কাটাতে চাইলে, কল্যানেশ্বরী মন্দিরর সঙ্গে তালিকায় যুক্ত করতে পারেন পুরুলিয়া। কল্যানেশ্বরী মন্দির কাছেই রয়েছে গড় পঞ্চকোট এবং জয়চণ্ডী পাহাড়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও মুগ্ধ করবে আপনাকে। খুব সহজে পেয়ে যাবেন থাকা ও খাওয়ার হোটেল। তবে আগে থেকে বুকিং করে রাখলে ভালো হয়। সঙ্গে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
Nayan Ghosh