মামা ভাগ্নে পাহাড়কে কেন্দ্র করে রয়েছে ঐতিহাসিক এবং একাধিক পৌরাণিক কাহিনী। এর পাশাপাশি এই পাহাড় বীরভূমের ভূগোলের ক্ষেত্রে আলাদা ঐতিহ্য বহন করে। বীরভূমের একমাত্র পাহাড় হিসাবে এই মামা ভাগ্নে পাহাড় রয়েছে দুবরাজপুর শহরে। এই পাহাড় হল ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ। মামা ভাগ্নে পাহাড় মূলত গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি।
advertisement
মামা ভাগ্নে পাহাড়কে কেন্দ্র করে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের আগমণ হয়ে থাকে। পাহাড়ের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য দুবরাজপুর পৌরসভার কর্মীরা প্রতিনিয়ত নিজেদের কাজ চালিয়ে যান। অন্যদিকে এখানেই কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে পাহাড়েশ্বর শিব মন্দির। সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে এই মন্দিরকে। পাশেই রয়েছে ছোটদের জন্য একটি পার্ক। যদিও এই পার্ক বর্তমানে বন্ধ রয়েছে করোনা পরিস্থিতির জন্য।
অন্যদিকে, মামা ভাগ্নে পাহাড়ের অদূরেই রয়েছে হেতমপুর রাজবাড়ী। মামা ভাগ্নে পাহাড় থেকেও হেতমপুর রাজবাড়ীর সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায়। এই হেতমপুর রাজবাড়ীকে বীরভূমের হাজারদুয়ারি বলা হয়ে থাকে। জমিদার আমলে তৈরি এই রাজবাড়ী মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারির সাদৃশ্য। হেতমপুরের এই রাজবাড়ীতে রয়েছে জমিদার আমলের বিভিন্ন নিদর্শন। এখানে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের একটি পিতলের রথ। হেতমপুর রাজবাড়ী এইসকল নিদর্শন পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু।
দুবরাজপুরের মামা ভাগ্নে পাহাড় অথবা হেতমপুর রাজবাড়ী ভ্রমণের জন্য সিউড়ি থেকে সহজেই জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়া যায়। এছাড়াও দুবরাজপুর রেলস্টেশনে নেমে সামান্য রাস্তা পাড়ি দিলেই সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে মামা ভাগ্নে পাহাড় এবং হেতমপুর রাজবাড়িতে। দুবরাজপুরের ১৪ নং জাতীয় সড়কের উপর সাতকেন্দুরী মোড়ে খাওয়া-দাওয়ার এবং থাকার জন্য হোটেল রয়েছে। এছাড়াও পর্যটকরা বক্রেশ্বর ও সিউড়িতে এসে রাত্রি বাস করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের এই মামা ভাগ্নে পাহাড়ে শুটিং হয়েছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রের দৃশ্য। সেই তালিকায় রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের অভিযান, গুপী গাইন বাঘা বাইন এবং সন্দীপ রায়ের রবার্টসনের রুবি, গোঁসাইপুর সরগরম ইত্যাদি।
Madhab Das