উদ্বোধনের পরেরদিন, জেলায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেল। বাড়ির সামনে রেশন পেয়ে খুশি মানুষজন। প্রকল্পের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এলাকার কাউন্সিলর। তিনি বলেছেন, প্রত্যেক মানুষ ঠিক ভাবে রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন কিনা, তাও আবার খতিয়ে দেখা যাবে। স্বভাবতই রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ খুশি জেলার মানুষ।
বুধবার সকাল থেকেই দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে হয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সামগ্রী বিতরণ। এদিন সকাল থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে রেশনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগরভাঙ্গা কলোনির দুটি জায়গায় মোট ৭০ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম দিন প্রকল্পের কাজ চলার সময়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীল চ্যাটার্জী। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ সঠিক ভাবে রেশনের সামগ্রী পাচ্ছে কীনা, তা তিনি খতিয়ে দেখতে এসেছেন। রেশনের সামগ্রী পেতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
advertisement
দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। তারা জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষকে কষ্ট করে দীর্ঘক্ষন ধরে রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এটা একটা বড় সুবিধা। তাছাড়াও করোনা আবহে সাধারণ মানুষকে ভিড়ে আতঙ্ক নিয়ে দাঁড়াতে হবে না। কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই বাড়ির সামনে হাতের কাছে রেশন সামগ্রী পেয়ে যাবেন মানুষ।
উল্লেখ্য, তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। প্রথম দুমাস জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ চালানো হয়। যদিও এই প্রকল্প নিয়ে রেশন ডিলারদের একাংশের কিছু অভিযোগ ছিল। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। কিন্তু জয় পায় রাজ্য সরকার। তার পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার থেকে জেলায় শুরু হয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ।
নয়ন ঘোষ






