ভারতবর্ষে কুড়ি করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় সংক্রমণ আছড়ে পড়ল। একে একে সমস্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গ। নানা সরকারি বিধি-নিষেধ আরোপ করে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। বর্তমানে সেই বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। করণা ভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকার কাঁকড়া চাষীরা।
advertisement
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে বন্ধ সমস্ত রকম ব্যবসা বাণিজ্য। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁকড়ার বৃহৎ বাজার চীন। জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সহজ চীন দেশে কাঁকড়া চাহিদা প্রচুর থাকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রচুর কাঁকড়া রপ্তানি হয় চীন দেশে। কিন্তু করোনার জন্য বন্ধ হয় রপ্তানি। কাঁকড়া চাষী ব্যবসায়ী ও রপ্তানি কাজের লোকজনেরা সমস্যায় পড়ে।
কাঁকড়া চাষীরা মূলত জানুয়ারি মাসে লক্ষ্য রেখেই কাঁকড়া চাষ শুরু করে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় কাঁকড়া চাষ । চাষের গোড়ার দিকে করোনার থাবায় কাঁকড়া চাষের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। সম্প্রতি ইয়াসের ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় উপকূলবর্তী এলাকা। শুধু মাছ ও সবজি চাষিরা নয় প্রবন ক্ষতির সম্মুখীন কাঁকড়া চাষিরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী ব্লক খেজুরি ও কাঁথিতে কাঁকড়া চাষ হয়। হলদিয়া ব্লকের নয়াচর ও নন্দীগ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়ার চাষ হয়। নোনা জলে কাঁকড়া চাষ ভালো হয়। খেজুরির প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ চাষী কাঁকড়ার চাষ করে। ইয়াস এসে কেড়ে নিয়েছে তাদের রুজি রোজগারের পথ।
কিছুদিন আগে খেজুরি ২ ব্লকেরকাঁকড়া চাষীরা, রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি কাছে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে একটি স্মারকলিপি ও ডেপুটেশন জমা দেয়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর মাহমুদ হোসেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে কাঁকড়া চাষীদের ক্ষতিপূরণ পুনর্বাসন ও আধুনিকরণ জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।