নজরদারি চালানোর জন্য বীরভূমের ছয়টি জায়গায় ছয়টি কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। যেগুলি হল বোলপুর ব্লকের কাশিপুর বাইপাস, জামবুনি টোল ট্যাক্স পয়েন্ট এবং কঙ্কালীতলা মন্দিরের কাছে। রামপুরহাট ব্লকে যে তিনটি কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে সেগুলি হল ফুলেরডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি এবং বাকি দুটি আটলা ও বালিয়া মোড়ে।
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে উল্লেখিত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যেসকল পর্যটকেরা আসবেন তাদের প্রথমে সরকারি সকল এই সকল কিয়স্কে যেতে হবে। যেসকল পর্যটকরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার তথ্য দেখাতে হবে। কোন পর্যটক যদি ভ্যাকসিন নিয়েছেন অথচ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখাতে পারছেন না তাহলেও তাকে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। ওই কিয়স্কে থাকা কর্মীরা কো-উইন সহ আরও যে সকল অনলাইন পোর্টাল রয়েছে সেগুলি থেকে আপনার মোবাইল নম্বর এবং আধার নম্বরের ভিত্তিতে তথ্য যাচাই করে নেবেন। মোবাইলে ওটিপির মধ্য দিয়ে এই তথ্য যাচাই করা হবে।
advertisement
এর পাশাপাশি কোন পর্যটক কোভিড পজিটিভ কিনা তা দেখে নেওয়া হবে ওই কিয়স্কেই Rapid antigen tests (RATs) এর মাধ্যমে। পরীক্ষা করার পর যদি কোন পর্যটক কোভিড পজিটিভ হন সেক্ষেত্রে তাকে কোনোভাবেই পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। অর্থাৎ একমাত্র কোভিড নেগেটিভ পর্যটকরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়াও পর্যটকরা সঠিকভাবে মাস্ক পরছেন কি না, সঠিক সময় অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন কিনা অথবা হাত ধোয়ার কাজ চালাচ্ছেন কিনা তার উপরও নজরদারি চালানো হবে প্রশাসনের তরফে।
এখন প্রশ্ন হলো বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের জন্যই কি এই নিয়ম, নাকি প্রত্যেকের জন্য, যারা এই পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আসবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ণ আধিকারিক প্রীতম মন্ডল জানিয়েছেন, বাইরের হোক অথবা লোকাল, যেকোনো জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের আগে এখানে পরীক্ষা করা হবে। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবেই প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।