দৈনিক সুস্থতার থেকে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক গুণ বেশী হওয়ায়, হাসপাতালগুলিতে কার্যত পাওয়া যাচ্ছিল না খালি বেড। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বেগ কমানোর জন্য জারি করা হয়েছে দীর্ঘদিন ব্যাপী লকডাউন। ফলে জেলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১৩০০ থেকে নেমে এসেছে ১৫০ এরও নীচে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেলায় এই সংখ্যাটা নামছেনা ১১০ এর নীচে। হাওড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩ জন। বিশেষজ্ঞরা এই সংখ্যাটা না কমার পিছনের কারণ হিসেবে অনেকক্ষেত্রেই এখনো বাজার , দোকানে সাধারণ মানুষের ভিড়কেই দায়ী করেছেন।
advertisement
গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যেসব জেলায় দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যা এখনও একশোর বেশী, সেগুলিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার জেলার যে সমস্ত এলাকা থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে , সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে সংক্রমণের গতিবিধি লক্ষ্য করে সেগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন এবং মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ভাগ করা হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে।
গত কয়েকদিন আগে যেখানে হাওড়ায় মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ১৮ টি , সেখানে বর্তমানে কনটেইনমেন্ট জোন এর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৬ টি। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে হাওড়াসদরের চ্যাটার্জিহাট বকুলতলা মাঠের মতো এলাকা, তেমনই রয়েছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার বাগনান শ্যামপুরের মতো বিভিন্ন অঞ্চল। সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে বাইরে থেকে জনসাধারণের প্রবেশ আটকাতে, টাঙানো হয়েছে ব্যানারও। রবিবার থেকে মঙ্গলবার অবধি তিন দিন বন্ধ রাখা হয়েছে সেই সমস্ত এলাকার বাজার দোকান গুলিও। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে করোনা সচেতনতায়, বারবার প্রচারও চালানো হচ্ছে এলাকাগুলিতে। করোনা সংক্রমণ রুখতে , প্রশাসনের তরফ থেকে চালু করা এই নতুন উদ্যোগে কতটা কমে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা, সেটাই এখন দেখার।