প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে রয়েছে এই পুজোর রয়েছে আলাদা গুরুত্ব (Traditional Durga Puja)। পুজোর উৎস সম্পর্কে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "তৎকালীন রাজনগরের নবাব আলিনকি খান আমাদের পূর্বপুরুষ তেকুরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে কাশীনাথের অন্নপ্রাশনে আসেন ৷ তিনি কিছু উপহার দিতে চান। তবে নিজের জন্য কিছু নিতে আপত্তি করেন। তিনি জানান যে, 'দুর্গাপুজো যাতে ভালোভাবে চলে সেবাযেতরা যাতে সেই পুজো ঠিকঠাক নিয়ে যেতে পারেন তার জন্য কিছু দান করুন'। তখন নবাব এই পুজোয় চালানোর জন্য ৬৪ বিঘা জমি, ৭টি পুকুর এবং একটি বড় পুস্করনী দান করেন।"
advertisement
আরও পড়ুন Durga Puja 2021| Puja Travel : উইকেন্ডে পুজোর ছুটিতে মাছ ধরা, রান্না করার মজা নলবুনি ইকো পার্কে
তেকুরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে কাশীনাথের অন্নপ্রাশনে রাজনগরের নবাবের আসার কারণ ছিল৷ তেকুরাম চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজনগরের নবাব আলিনকি খানের দেওয়ান। চট্টোপাধ্যায় পরিবারের এই পুজো শুরু করেছিলেন তেকুরাম চট্টোপাধ্যায় ১১১১ বঙ্গাব্দে। তারপর থেকেই রীতি মেনে কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে দুর্গা মায়ের বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজো। এই পুজোতে বর্তমানে অনেক শরিক ঢুকলেও একই রীতি মেনে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে এই পূজো চলে আসছে। এই পূজো বর্তমানে ১১ পুরুষ ধরে চললেও রীতিনীতিতে কোনরকম নড়চড় হয়নি।
মহা নবমীর একপক্ষ (Durga Puja Special) কাল আগে কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে শুরু হওয়া বালিজুড়ি গ্রামের এই দুই পরিবারের দুর্গাপুজো ঘিরে ওই পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও সাধারণ মানুষদের মধ্যেও দেখা যায় আলাদা উৎসাহ- উদ্দীপনা। ঘট আনার দিন থেকেই প্রসাদ বিতরণ এবং ভোগের আয়োজন থাকে। বিভিন্ন পাড়ার মানুষেরা এই ভোগ নেওয়ার জন্য নিমন্ত্রিত থাকেন।
মাধব দাস






