মূলত, তারাপীঠ মন্দিরে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খন্ড এবং বিহার থেকে অজস্র পুণ্যার্থীদের আগমণ হয়ে থাকে। সেই সকল পুণ্যার্থীরা যাতে কৌশিকী অমাবস্যার সময় অযথা মন্দিরে না আসেন তার জন্য তাদের বার্তা দিতে গত দু'দিন আগে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসে বীরভূম পুলিশ। দুমকা জেলার শিকারিপাড়া থানার মালুটি গেস্ট হাউসে এই বৈঠক হয়। যে বৈঠকে বীরভূম পুলিশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদ।
advertisement
সেই বৈঠকে পড়শী রাজ্যের পুলিশ কৌশিকী অমাবস্যার সময় ঝাড়খন্ড এবং বিহার থেকে যাতে পুণ্যার্থীরা তারাপীঠে অযথা ভিড় না করেন তার জন্য বার্তা দেবেন বলে জানানো হয়। এছাড়াও নাকা, সীমান্ত অপরাধ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি এই বৈঠকেই দুই রাজ্যের অপরাধী তালিকা এবং পলাতক তালিকা বিনিময় করা হয় বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
ঝাড়খন্ড দুমকা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নুর মোস্তফা আনসারী জানিয়েছেন, "তারাপীঠ মন্দির যেহেতু কৌশিকী আমাবস্যায় তিন সেপ্টেম্বর থেকে আট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাই, করোনা মহামারীকে মাথায় রেখে ঝাড়খন্ড, বিহার থেকে আগত ভক্তদের অনুরোধ করা হবে যে যাতে তারা অযথা তারাপীঠে গিয়ে ভিড় না বাড়ান।"
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বীরভূমের বর্তমান পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে এই স্বাভাবিক ছন্দের মাঝেই ভ্রুকুটি দিচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। যে কারণে কোনভাবেই যাতে সংক্রমণ তীব্র গতিতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কৌশিকী অমাবস্যার ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওই নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সর্বসাধারণের জন্য তারাপীঠ মন্দির বন্ধ থাকলেও রীতি মেনে মন্দিরের সেবায়েত অর্থাৎ পূজারীরা তারা মায়ের পুজো করবেন।