সিউড়ি শহর থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে এমনটা নয়, বরং পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এমনটাই স্পষ্ট হলো সোমবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দি রায়, সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী এবং সিউড়ি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর বৈঠকে। এ দিন এই বৈঠকে উঠে আসে সিউড়ি শহরকে যানজট মুক্ত করা, শহরের সৌন্দর্যায়ন করা এবং শহরের বেশ কিছু সমস্যা। আর এই সকল ক্ষেত্রগুলি কিভাবে পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত করা যায় তাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু বলে জানিয়েছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দি রায়।
advertisement
বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, "সিউড়ি শহরে যে সকল সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল পানীয় জল এবং যানজট। সেই জায়গায় আমরা পানীয় জলের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। পাশাপাশি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চলছে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডকে শহরের বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার। যাতে করে শহরের যানজট সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি ডিভাইডার, আলো এবং অন্যান্য মাধ্যমে শহরকে যাতে আরও সাজিয়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হচ্ছে।"
তবে সিউড়ি শহর থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডকে শহরের বাইরে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এপ্রসঙ্গে শতাব্দী রায় জানান, "মাঝে ভোট এবং করোনা সংক্রমণের কারণে অনেক প্রপোজাল হয়েও বন্ধ হয়ে রয়েছে। তবে এখন ভোট শেষ এবং আমরা সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি। সেই জায়গায় এইগুলো আবার নতুন করে শুরু করা যেতে পারে।"
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে মোটামুটি ভাবে শহরের কেন্দ্রস্থলে। এর আগে এক দফায় এই বাসস্ট্যান্ড সিউড়ির পাশে আব্দারপুর এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। পরে তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তিলপাড়া সংলগ্ন একটি এলাকায়। জানা গিয়েছে, সেখানে জায়গাও একপ্রকার তৈরি। যদিও এদিনের বৈঠকের পর প্রশাসনিক ভাবে জানানো হয়নি কোথায় এই বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক এই সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে তাকিয়েই শহরের বাসিন্দারা।