অন্যান্য জায়গার মতো প্রতি বছর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় তাজিয়া বের করে থাকেন। দুলদুল ঘোড়া, কারবালা, লাঠিসোটা নিয়ে উন্মত্ত 'হায় হোসেন হায় হোসেন' করতে করতে বুকে করাঘাত দিয়ে চলে তাজিয়া নিয়ে শোকযাত্রা। তবে চলতি বছর করোনা সংক্রমণের কারণে রীতি মেনে এই তাজিয়া তৈরি হলেও তা নিয়ে শোকযাত্রা বের হবে না।
advertisement
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পুনরায় যাতে করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে তার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ জারি করেছে। সেইমতো মহরম নিয়েও একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। মহরমের দশ পনেরো দিন আগে থেকেই এই সকল বিধিনিষেধ নিয়ে বিভিন্ন থানায় মহরম কমিটি এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেই সকল বৈঠকেই একাধিক বিধি নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
বীরভূম জেলা প্রশাসনের এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন জেলার মহরম কমিটির সদস্যরা। তারা তাজিয়া নিয়ে মূল রাস্তায় কোনও রকম শোকযাত্রা বের করবেন না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনকে। যে কারণে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে দিনরাত এক করে তাজিয়া তৈরি করা হলেও মন ভালো নেই তাজিয়া শিল্পী এবং অন্যান্যদের।
বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকার তাজিয়া শিল্পী শেখ শরীফ হোসেন, শেখ নাসিব উদ্দিন, শেখ মাসুম আলী সহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন, "দশ পনেরো দিন থেকে আমরা দিনরাত এক করে তাজিয়ার কাজ করছি। কিন্তু করোনার কারণে গত বছরের মতো এই বছরও মূল শোকযাত্রা করা হবে না। এই সকল তাজিয়া পাড়ার মধ্যে রাখা হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মন খারাপ। তবে প্রশাসনের নির্দেশ এবং সকলের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সব কিছুই মেনে নিতে হচ্ছে।"