মন্দিরে আগত অধিকাংশ ভক্তদের মুখে মাস্ক নেই। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশ মন্দিরের পুরোহিত অথবা সেবায়েতদের মুখেও। পাশাপাশি করোনা পরবর্তী সময়ে মন্দির কমিটির তরফ থেকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ চালানো ছাড়াও মন্দির কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা খতিয়ে দেখবেন কোভিড প্রোটোকল, তাও চোখে পড়ল না শনিবার। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে কেবলমাত্র কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির বন্ধ রেখেই কি লাগাম টানা সম্ভব করোনায়।
advertisement
কারণ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষজ্ঞরা বারংবার মত পোষণ করছেন, কোনভাবেই গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে চললে হবে না। বাইরে যাতায়াত অথবা কাজের ক্ষেত্রে সবসময় মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব, ব্যবহার করতে হবে ফেস মাস্ক সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি। আর তা না হলে অবশ্যম্ভাবী করোনার তৃতীয় ঢেউ।
বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও যখন দেশজুড়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেই সময় বীরভূমের এই তারাপীঠ মন্দিরে এমন লাগামছাড়া মনোভাব প্রশ্ন তুলছে জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির ব্যবস্থাপনা নিয়েও।
তারাপীঠ মন্দিরের এদিনের এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "কৌশিকী অমাবস্যার পর প্রথম শনিবার দারুণ ভিড় হয়েছে তারাপীঠে।\" কিন্তু এর পরেই যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, এই ভিড়ের পরিস্থিতিতে ঠিকঠাক স্বাস্থ্যবিধি কি মানা হচ্ছে? স্বভাবতই এই অপ্রস্তুত প্রশ্ন শুনে তিনি তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, \"এখন আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ রয়েছি। এই বিষয়ে পরে কথা বলা নেওয়া হবে।"