নদী পাড় থেকে মাটি কেটে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বোলপুরের কোপাই নদী (Kopai River) তীরবর্তী এলাকায় হামেশাই লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বারংবার এমন মাটি কেটে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করতে দেখা যায়। তবে তারাও তেমন ভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন না প্রাণভয়ে। আর নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে এইভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ঘটনায় প্লাবনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
advertisement
বোলপুরের গোয়ালপাড়ায় কোপাই নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার এমন একটি ঘটনায় গত রবিবার শান্তিনিকেতন ও পাঁড়ুই থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে একটি জেসিবি মেশিন এবং দু'জনকে আটক করে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় রায়। তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এবং যে পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছে তার কোনো অনুমতি রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।
কোপাই নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, "গত তিন দিন ধরে এই ভাবে নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে নিয়ে যেতে দেখছি আমরা। ওই মাটির স্থানীয় একটি বেসরকারি রিসোর্টে মাটি ভরাটের কাজে লাগানো হচ্ছিল। তবে আমরা ভয়ে এই ঘটনায় প্রতিবাদ করতে যাই নি। আর এর আগেও এই নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধরাও পড়েছেন অনেকজন।"
নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, "নদী গর্ভ থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে মাটি কেটে অন্যত্র কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকারি অনুমতি ছাড়া এই কাজ করা যায় না। তবে কেউ ওই একই জায়গায় মাটি কেটে কাজে লাগাতে পারেন। তবে সেই মাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।"
তবে কোপাই নদী তীরবর্তী এলাকায় এইভাবে বারংবার মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় যেমন সঙ্কটে পড়েছে কোপাই নদী ঠিক তেমনই একাধিকবার এমন ঘটনায় প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই বিষয়ে সঞ্জয় রায় জানিয়েছেন, "আমাদের পক্ষে সব সময় সব জায়গায় নজর রাখা সম্ভব হয় না। তবে আমরা নজরে রাখার চেষ্টা চালাই। কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরাই খবর দেন, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদেরও নজরে পড়ে।"