জন্মাষ্টমী এবং গীতা ভবনের সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রতিবছর নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তবে করোনাকালে গত বছর থেকে এই সকল শোভাযাত্রা বন্ধ রয়েছে। গত বছরের মতো চলতি বছরও করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গীতা ভবন প্রাঙ্গণে গুটিকয়েক ভক্তদের নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের শোভাযাত্রা ও অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান করা হয়।
advertisement
অন্যদিকে এই গীতা ভবনের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে মঙ্গলবারও রয়েছে একাধিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং মহোৎসব। তবে আগত ভক্তদেরকে সমস্ত রকম স্বাস্থ্য বিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন গীতা ভবনের প্রতিষ্ঠাতা তথা অধ্যক্ষ স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ। স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, "জন্মাষ্টমীতে যেহেতু এই গীতা ভবনের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তাই আমরা প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিষ্ঠা তিথি পালন করে থাকি। যাকে আমরা সমাবর্তন অনুষ্ঠান বলে থাকি।"
এর পাশাপাশি স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, "শ্রীমদ্ভাগবত গীতা হলো একটি ইউনিভার্সেল প্ল্যাটফর্ম। যা কোন সম্প্রদায়ের পক্ষে অথবা বিপক্ষে কথা বলেনি। শ্রীমদ্ভাগবত গীতার বাণী আত্মাকে শান্তি দিতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য এই বাণীকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। সারা বছরই এখানে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, তবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে ভক্তদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।"
অন্যদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বীরভূমের সিউড়ি শহরের সংস্কার ভারতী সিউড়ি শাখার তরফ থেকে চলতি বছর করোনা অতিমাতির কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল মাধ্যমে 'শ্রীকৃষ্ণ রূপসজ্জা প্রদর্শন' নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যে অনুষ্ঠানে বীরভূম ছাড়াও কলকাতা, বর্ধমান, এমনকি ভিন রাজ্য ব্যাঙ্গালোর থেকেও শিশুরা অংশগ্রহণ করে এই প্রতিযোগিতায়। প্রায় ২০০ জন শিশু এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে এবং সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেক শিশুকে একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হয়।