মূলত বৃহস্পতিবার থেকে বীরভূমের অজয় নদ এবং হিংলো নদীতে জল বাড়ার কারণে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয় (Birbhum Flood)। এরই মাঝে মাঝরাতে নদী পার ভাঙতে শুরু করে অজয়ে। রাত্রি দুটো আড়াইটার সময় ভেঙ্গে যায় সিঁদুরপুরের কাছে থাকা অজয় নদীর বাঁধ। যার পরেই প্লাবিত হয়ে পড়ে নানুর ব্লকের থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের থুপসরা, সিঁদুরপুর, বামুনিয়া, রামকৃষ্ণপুর, সাঁতরা, পাতিসারা, হাড়মুর সহ প্রায় সব গ্রামের জলের তলায়। রাস্তার উপর উপচে পড়েছে জল, বিঘার পর বিঘা চাষযোগ্য জমি জলের নিচে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জয়নাল জানিয়েছেন, "বর্তমানে এখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা ভয়ানক। পানীয় জলের কল পর্যন্ত চলে গিয়েছে জলের তলায়। চাষের সমস্ত জমি জলে ডুবে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। রাস্তায় এক কোমরের বেশি জল। গ্রামের প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রচুর মানুষকে পাকা বাড়ির ছাদে রাখা হয়েছে। মানুষ খুব কষ্টের সঙ্গে রয়েছেন।"
নানুর ব্লকের থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মতই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। এই এলাকায় সকাল থেকে ভাঙতে শুরু করে হিংলো নদীর পাড়। নদী ঘেঁষা অধিকাংশ এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি (Birbhum Flood)। বর্তমান ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দেবীপুর চরের কোনরকম অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এলাকার কম করে ৫০ টিরও বেশি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। একইভাবে জল ঢুকেছে হিংলো নদী তীরবর্তী খয়রাশোল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। এখানেও রাস্তাঘাট জলের তলায়।