আরও পড়ুন লক্ষ্মীপুজোয় ইলিশ মাছ! সিউড়ির ঐতিহ্যবাহী কর্মকার বাড়ির পুজোর নিয়মই আলাদা
এমনিতেই বর্ষার (Rainy season) সময় একটু বেশি বৃষ্টিপাত হলেই কুয়ে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা জলে ডুবতে লক্ষ্য করা যায়। আর এই বছর লাগাতার বৃষ্টিতে এইসকল এলাকার অবস্থা শোচনীয়। পুজোর আগে নিম্নচাপের বৃষ্টি (Rain due to depression), ফের পুজোর পর নতুন করে নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বুধবার থেকেই লাভপুরের বিভিন্ন জায়গায় কুয়ে নদীর জল উঠেছে। লাভপুর থেকে বোলপুর যাওয়ার রাস্তায় লাঘাটা ব্রিজের কাছে হাঁটু সমান জল। একইভাবে কাঁদরকূলে গ্রামেরও কজওয়ে জলের তলায়। এমত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
advertisement
অন্যদিকে এই দুর্ভোগের পাশাপাশি আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন তারা ফসল নিয়ে। পাশাপাশি তারা আতঙ্কে রয়েছেন, যদি আরও বৃষ্টি হয়, যদি নদীতে আর জল বাড়ে তাহলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ বাগদি।
আতঙ্কের কথা জানানোর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, "এর আগেও জলে ডুবেছে এলাকা (Water logging)। আর এবারও। আরও জল বাড়লে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের এখানে দোনাইপুরে কালীপুজো খুব ধুমধাম করে হয়। কিন্তু যদি পুজোর আগে আবার বৃষ্টি হয় বা এখন যেভাবে নদীতে জল বাড়ছে সেই ভাবে নদীতে জল বাড়ে তাহলে সব শেষ।"
আরও পড়ুন সামান্য বাড়ল সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রামিত ১২৮ জন এবং সুস্থ ১০৪ জন
দিন কয়েকের নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে (Heavy rainfall) কেবলমাত্র লাভপুর এলাকা নয়, এর পাশাপাশি বীরভূমের নলহাটি, মহঃবাজারের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। নলহাটিতে ব্রাহ্মণী নদীতে জল বাড়ার কারণে দেবগ্রাম ঘাটের কাছে থাকা কজওয়ে বুধবার থেকেই জলের তলায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
মহঃবাজারের কূলে নদীতেও জল বাড়ার কারণে গিরিপুর (Bengal news) থেকে পুরাতন গ্রাম যাওয়ার মাঝে থাকা একটি ভাসা ব্রিজ জলের তলায় চলে যায়। যে ঘটনায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এইভাবে জল বাড়ার কারণে এই এলাকার কমকরে ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা অসুবিধার সম্মুখীন হন।
মাধব দাস