বীরভূমের প্রায় সর্বত্র রাস্তাঘাটে বের হওয়া মানুষদের মধ্যে এমন উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের মুখে কোনরকম ফেস মাস্ক নজরে আসছে না। অন্যদিকে সংক্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, তাও প্রায় দূর অস্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণপরিবহণের ক্ষেত্রেও সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার তেমন প্রবণতা লক্ষণীয় নয়। আর এই সকল পরিস্থিতি থেকেই নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন বলে মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
advertisement
অন্যদিকে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে এমন উদাসীনতা রুখে দেওয়ার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর সেই সকল নজরদারিতে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ আটক হচ্ছেন অথবা জরিমানার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও সচেতনতা নজরে আসছে না। বরং পুলিশের এই নজরদারি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ভিন্ন পথ খুঁজছেন বাসিন্দারা।
এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর পিএম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মোহিত সাহা জানিয়েছেন, "মাস্ক ব্যবহার করা বর্তমানে কতটা জরুরি তা সাধারণ মানুষ যতক্ষণ না নিজেরা উপলব্ধি করবেন ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। কেবলমাত্র পুলিশ ধরপাকড় করছে বলেই মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে এই মনোভাব থাকলে চলবে না। পাশাপাশি কীভাবে এবং কোন পদ্ধতিতে মাস্ক ব্যবহার করাটা জরুরী তাও জানা দরকার। অনেকেই যেভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন তাতে দেখা যাচ্ছে নাসারন্ধ্রই খোলা। তাতে আমার লাভটা কি। আমাদের তো আগে বুঝতে হবে কেন আমরা এই মাস্ক ব্যবহার করছি। একইভাবে হাত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম পালন করতে হয়।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "বর্তমানে মাস্ক ব্যবহার করা এবং হাত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যে মনোভাব দেখা যাচ্ছে তা ঠিক হেলমেট পরার মত। হেলমেট বাইক আরোহীকে পরতে বলা হয়ে থাকে তাদের সুরক্ষার জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা তা পরেন পুলিশ থেকে বাঁচার জন্য।"