শিলিগুড়ি জোৎস্নাময়ী হাইস্কুলের ছাত্রী অনন্যা। মাধ্যমিকেও রাজ্যে ১৩তম স্থান অধিকার করেছিল সে। বরাবরই মেধাবী ছাত্রী হিসেবেই স্কুলে পরিচিত ছিল অনন্যা। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, গান, ছবি আঁকতেও ভালোবাসে সে।নিজের ফলাফলে খুবই খুশি অনন্যা তবে এই নম্বরই পরীক্ষা দিয়ে পাওয়া গেলে আরও ভালো লাগতো বলে জানায় সে।
উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যের পর শিলিগুড়ির কৃতী ছাত্রী অনন্যা বলেন, 'ভালো লাগছে তবে পরীক্ষা হয়ে রেজাল্ট বের হলে আরও ভালো লাগত।' ফলাফল প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে আত্মবিশ্বাসী অনন্যা বলেন, 'হ্যাঁ, রেজাল্ট যথেষ্ট আশানুরূপ। যদি পরীক্ষা হতো তাহলেও এরমই রেজাল্ট হত।' অনন্যা জানায়, তিনি বাংলা- ৯৪, ইংরেজি- ৯৭, বায়োলজি- ৯৮, ফিজিক্স- ৯৯, গনিত- ৯৯, কেমিস্ট্রি- ৯৯। বর্তমানে আইআইটি অ্যাডভান্স নিয়ে চিন্তিত। ভবিষ্যতে শিলিগুড়ির এই 'লক্ষ্মী মেয়ে' আ্যস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা।
advertisement
অনন্যা বলেন, 'ছোটো থেকেই গ্রহ-নক্ষত্র-তারা নিয়ে জানতে ভালো লাগে। তাই আ্যস্ট্রোফিজিক্স বিষয়টাতে একটা আলাদা ভালো লাগা রয়েছে।' এই কঠিন সময়ে কোন শিক্ষকরা পাশে ছিলেন প্রশ্নের উত্তরে অনন্যা বলেন, 'মাধ্যমিক অবধি বাবা আমাকে পড়াতেন। গণিত তো দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাবাই পড়াত। তারপর টিউশন ছিল। ওই টিচারদের কাছেই পড়েছি।' ভবিষ্যতে কি হতে চাও প্রশ্নের উত্তরে অনন্যা বলেন, 'বিজ্ঞানী হতে চাই। তাই অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। মা ও বাবা দুজনেরই একই স্বপ্ন আমায় নিয়ে।'
এ দিকে মা সুজাতাদেবী বলেন, 'মেয়ের সাফল্যে যথেষ্ট খুশি। মেয়ে আগাগোড়াই পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী। জয়েন্ট এন্ট্রান্সেও ভালো ফলাফল করেছে। সেখানে ও ৯৬.৪ পার্সেন্টাইল রেজাল্ট পেয়েছে। এখন ও বিজ্ঞানী হতে চায়। মা হিসেবে ওর সঙ্গে আছি সবসময়।'
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর স্থগিত রাখা হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মেয়ের সাফল্যে খুশি অনন্যার মা-বাবাও। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে অনন্যার বাড়িতে পৌঁছে যান প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডঃ সুপ্রকাশ রায় ও স্কুল পরিদর্শক অফিসের আধিকারিকেরা। শুভেচ্ছা জানান অনন্যাকে।