শহরের মির্জা বাজার এলাকায় চক্রবর্তী পরিবারের পুজো (Durga Puja 2021) হয়ে আসছে ১৮২৬ সাল থেকে। পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য ধনঞ্জয় চক্রবর্তী জানালেন তাদের পুজোর পুরাতন ইতিহাস। বিরাট রাজার পুরোহিত ছিলেন রাখাল চক্রবর্তী। সেই রাখাল চক্রবর্তীর হাত ধরে এই দুর্গা পুজোর সূচনা। তবে সিংহবাহিনীর পুজো বলেই পটচিত্রের দুর্গা পূজিত হন। কারণ খড় মাটি বাঁশ দিয়ে মূর্তি গড়ে পুজোতে দুর্ঘটনা ঘটে তাই পটের পুজোতে ক্ষান্ত হোন দেবী মহমায়া।
advertisement
ষষ্ঠীতে মাকে রুই মাছের ঝোল ভাত দিয়ে পুজো (Durga Puja 2021) দেওয়া হয়। সপ্তমীতে সাতটি কুয়ো থেকে সাত কলসি জল এনে অভিষেক করা হয় মায়ের। এরপর মন্দিরে ঢোকানো হয়। সপ্তমী অষ্টমী নবমী দশমী ধরে পূজো হয়। নবমীর দিন নিরামিষ রান্না হয় মায়ের জন্য। বলি দেওয়া হয় কুমড়ো-সহ নানা প্রকার সবজির। দশমীর রাতে মায়ের জন্য ব্যবস্থা করা হয় ল্যাঠা মাছের ঝোল এবং সোল মাছের পোড়া দিয়ে পঞ্চব্যঞ্জন। আর তাতেই খুশি মা। এরপরে তিনি পাড়ি দেন কৈলাশে।
পরিবারের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সদস্যরা আসেন এই কটা দিন বাড়িতে। জাঁকজমক ভাবে দুর্গা আরাধনায় মেতে ওঠেন পরিবারের আট থেকে আশী সকলেই। মায়ের বিসর্জন হয় নদীতে।
Partha Mukherjee