মোবাইল গেম খেলাতে বকাবকি করায় নিজের মা, দাদা কে নৃশংস ভাবে খুনের চেষ্টা যুবকের। পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। চণ্ডীপুর থানার সুলতানপুর এলাকার ঘটনা। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, মোবাইল গেম খেলা বাধা দেওয়ায় এক যুবক রবিবার ১৮ জুলাই ভোররাতে তার মা ও দাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী চন্ডীপুর থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে চন্ডীপুর থানার পুলিশ পৌঁছে বাড়ির মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করে। ঐ মা ও দাদাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে চণ্ডীপুর এড়াশাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দাদাকে হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মা চিকিৎসাধীন। মৃত বড়ভাই এর নাম সূর্যকান্ত মন্ডল। বছর ছাব্বিশের যুবক সূর্যকান্ত ভাইয়ের হাতে খুন হয়।
advertisement
কীর্তিমান ঐ যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে ভগবানপুর থানার সরবেড়িয়া এলাকায় গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ভগবানপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পরবর্তীতে তাকেও তমলুকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কীর্তিমান যুবকের নাম চন্দ্রকান্ত মন্ডল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। পরে এদিন দুপুর দেড়\'টা নাগাদ তমলুক জেলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হওয়া চন্দ্রকান্ত মন্ডলের মৃত্যু হয়। তবে মায়ের চিকিৎসা তমলুক জেলা হাসপাতালে চলছে, এই মুহুর্তে তার মায়ের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ, সংসারের নিত্য অভাব। কিন্তু পরিবারের ছোট ছেলের কোন কিছুতে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে ব্যস্ত মোবাইল গেমে। মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ায় বকাবকি করত দাদা ও মা। মোবাইল গেমে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছিল বাড়ির বাধা তার কাছে পাহাড় সমান হয়ে যায়। মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলস্বরূপ নিজের মা ও দাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানে। এবং পরবর্তীতে নিজে বিষ পান করে আত্মঘাতী হয়। এই ভয়াবহ ঘটনা সমাজের কাছে মোবাইলে আসক্ত হওয়ার দৃষ্টান্ত স্বরূপ স্থাপিত হয়েছে।
চন্ডিপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বাড়ির ইলেকট্রিক বন্ধ করে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। তবে এই মৃত্যুর পেছনে তার ছেলের যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে, এই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে জানায় সাংবাদিকদের তমলুক জেলা হাসপাতালে তার মা। এই ঘটনার প্রকৃত তদন্তে নেমেছে চন্ডীপুর থানার পুলিশ।