স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাসিন্দা লক্ষ্মীনারায়ণ রায়ের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের পাটাতন (সাটারিং) খোলার কাজ চলছিল। সেই পাটাতন খুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে প্রথমে এক জন নামলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে এর পর তাঁকে উদ্ধার করতে পর পর আরও তিন জন কর্মী তাতে নামেন। তবে তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের উদ্ধার করতে এ বার মুখে গামছা-কাপড় বেঁধে উদ্ধারকাজে নামেন এলাকাবাসীরা। অসুস্থদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
advertisement
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল ও জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় হাফিজুর রহমান নামে এক গ্রামবাসী বলেন, 'আমরা তখন জমিতে কাজ করছিলাম, আচমকাই চিৎকার শুনে ছুটে আসি। দেখি সেপটিক ট্যাঙ্কের সাটারিং খুলতে গিয়ে এই বিপত্তি। মনে হয় ভিতরে গ্যাস জমে ছিল।'
প্রসঙ্গত, সেপটিক ট্যাঙ্কে সাফাইয়ের কাজে নেমে এর আগেও দুর্ঘটনা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। এর আগে ডুয়ার্সেও প্রায় একই ভাবে মারা গিয়েছেন সাফাইকর্মীরা। তবুও বাড়েনি বাড়তি সতর্কতা। টনক নড়েনি প্রশাসনের। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।






