বছরের অন্যান্য সময়ে হদহদি ঝর্না শুকনো থাকলেও বর্ষাতে সজীব থাকে। এবছর বৃষ্টির পরিমান বেশি থাকায় বর্ষার পাশাপাশি শরতেও এর প্রকৃত রূপ দেখতে পাবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেলপাহাড়িতে পর্যটকের পরিমাণ বৃদ্ধিও পেয়েছে। বেলপাহাড়ি ট্যুরিজমের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ বলেন ‘ বর্ষা হল বেলপাহাড়ির ভরা যৌবন, এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় বেলপাহাড়ির প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকেরা।’
advertisement
ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া বেলপাহাড়ির কোলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সাজিয়ে বসে রয়েছে ঢাঙিকুসুম। বেলপাহাড়ি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম। সবুজ পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা ঢাঙিকুসুমের পথ। আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামের প্রাচীন জীবিকা ছিল পাথর শিল্প। গভীর জঙ্গলে গিয়ে পাহাড় থেকে পাথর সংগ্রহ করে এনে নানান জিনিস বানিয়ে এদিক ওদিক বিক্রি করা ছিল রুটি রুজির উৎস। বর্তমানে অনেকেই পূর্ব পুরুষদের এই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
দু’পাশে ঘন সবুজ জঙ্গল। এর মাঝে উঁচু-নিচু পথ। টিলার উৎরাই-চড়াইও রয়েছে। আর যদি দুটো দিন প্রকৃতির কোলে বিশ্রাম নিতে আসেন, তাহলে সেরা ঠিকানা হতে পারে বেলপাহাড়ি ঢাঙিকুসুম। গ্রাম থেকে জঙ্গলের পথ একটু ঘন। আর এই নিস্তব্ধ জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটে গেলে কানে আসবে জলপ্রপাতের শব্দ। কাছে গেলেই চোখে পড়বে ডুংরি ফলসের। ঝাড়গ্রাম বেড়াতে গেলে একদিনের সফরে অনায়াসে ঘুরে নেওয়া যেতে পারে ঢাঙিকুসুম।