তবে শুধু নাইট সাফারি নয়। নৌকা করে নদীর মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগও পাবেন। এই সময় শীতের মরশুমে নৌকায় চেপে উপভোগ করতে পারবেন এক অন্যরকম পরিবেশ। শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে , নির্জন মনোরম পরিবেশের এই জায়গায় গেলে সকলেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। শীতের মরশুমে দেখতে পাবেন একাধিক পরিযায়ী পাখি। সেই সকল পাখির ছবি ফ্রেম বন্দি করে রাখতে পারবেন নিজের কাছে। এই পাখি দেখার জন্য বর্তমানে মাঝে মধ্যে বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গায়।তবে নাইট সাফারি, পরিযায়ী পাখি ছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গার সবথেক আকর্ষণীয় জিনিস গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হোমস্টে বা হোটেল নয়, ঘন জঙ্গলে প্রকৃতির মধ্যেই তাঁবুতেই রাত্রিযাপন! পাহাড়ের কোথায় জানেন?
গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন বা গাঙ্গেয় শুশুক দেখার জন্য সবথেকে সেরা পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গা। দূর দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত এখন পর্যটকেরা ভিড় জমাচ্ছেন। পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গা সত্যিই অন্যরকম। গ্রাম্য পরিবেশ এহেন রিসর্ট দেখলে অবাক হবেন সকলেই। নদীর ধারে প্রত্যন্ত গ্রামে যে এরকম রিসর্ট থাকতে পারে তা নিজের চোখে দেখলেই হতবাক হবেন।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের একদম পাশেই রয়েছে নয়াচর নামের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। তবে এই গ্রাম নদীয়া জেলার অন্তর্গত। নদিয়া জেলার অন্তর্গত হলেও গ্রামবাসীদের সবটাই জড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের সঙ্গে। এখানকার বাসিন্দারাও একদম সাদামাঠা জীবনযাপন করেন। নদীর ধারে অবস্থিত এই গ্রামেই গড়ে উঠেছে একটি রিসর্ট।
রিসর্ট বা বাংলো বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে নয়াচর ইকো ভিলেজ। এখানেই পর্যটকদের জন্য থাকা, খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। আর নয়াচর গ্রামের এই রিসর্টে উঠলেই দেখার সুযোগ পাবেন গাঙ্গেয় শুশুক, পরিযায়ী পাখি এবং সঙ্গে থাকবে নৌকা বিহার আর রাত্রে নাইট সাফারি। গ্রাম্য পরিবেশের মধ্যে একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে সকলেরই। বন্ধু বান্ধব অথবা পরিবার নিয়ে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ এই জায়গা।
এই রিসর্টে থাকা, খাওয়া, ঘোরা সব নিয়ে লাগবে ২২০০ টাকা প্রতি জনের, তবে এটা শুধুমাত্র চারজন হলে। দু’জনের জন্য লাগবে মাথাপিছু ২৬০০ টাকা করে। দুদিন থাকলে খুব ভাল ভাবে এই জায়গার বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যাবে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে হবে 9734845477 এই নম্বরে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া অথবা দাঁইহাট স্টেশন থেকে সহজেই আসা যাবে এই জায়গায়। স্টেশনে নেমে টোটো অথবা গাড়ি করে আসতে হবে একদম কাছেই নয়াচর গ্রামে। নয়াচর গ্রামে এসে যোগাযোগ করে নিতে হবে রিসর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী