শহর ছেড়ে গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে এই জায়গা আপনার জন্য পারফেক্ট। এবার লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা। যা আপনার দৈনন্দিন ক্লান্তি নিমিষে দূর করে দেবে। সবুজ প্রান্তর, গ্রাম, গ্রামীণ সংস্কৃতিকে উপভোগ করুন এখানে এসেই। এখানে নেই কোনও চিৎকার, শহরের কোলাহল। চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ। কোথাও পাখি ডাকছে, কোথাও আবার ফুলে-ফলে ভরে রয়েছে গাছগুলো। তাই অন্তত একটি দিন এখানে কাটাতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন কাছে পিঠে পুরানো মন্দির, রাজবাড়ি-সহ নানান জিনিস। কলকাতার খুব কাছেই এমন সুন্দর একটি জায়গা, থাকতে পারবেন কটেজে। একদিন থেকে নিজেকে একটু চাপমুক্ত করে আবার ফিরতে পারবে নিজের কাজে।
advertisement
কলকাতা থেকে খুব কাছেই জাতীয় সড়কের পাশে একটি লোধা আশ্রম এবং সেই আশ্রমের মধ্যে বেশ শিল্প নিপুণতায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে কটেজ। কটেজে চারিদিকে যেমন পটের নানা ছবি আঁকা তেমনই ভিতরে এবং বাইরের দেওয়াল সাজান হয়েছে বাঁশের নানা কারুকার্যে। চারিদিকে সবুজে ঘেরা। মাঝে থাকার জন্য কটেজ। ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে পুরানো দিনের বইয়ের লাইব্রেরী। তিনটি লোধা আশ্রম হোস্টেল। ক্যাম্পাসেই রয়েছে দুটি হরিণও। স্বাভাবিকভাবে এখানে একদিন রাত্রিযাপন করতে পারবেন পরিবারের সঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ লং উইকেন্ডে লাল কাঁকড়ায় ঢাকা নির্জন সৈকতে ছুটি কাটাতে চান? আদর্শ ঠিকানা বগুড়ান জলপাই, ঘুরে আসুন
কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে নারায়ণগড় থানার বিদিশা গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে লোধাদের জন্য তৈরি বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশ্রম হোস্টেল। চারিদিকের সবুজ আর সবুজ। রাজহাঁস চরে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। শুধু এখানে থাকা নয়, লাইব্রেরীতে গিয়ে পুরানো দিনের লোকসংস্কৃতির ইতিহাস জানতে পারবেন। বিভিন্ন পুরানো বই পড়তে পারবেন এখানে। ঘোরা, ছবি তোলা বাদ দিয়ে এবার একটু নিজের সঙ্গে সময় কাটান এখানে এসে।
কলকাতা থেকে ওড়িশা অভিমুখে পড়বে নারায়ণগড় থানার মকরামপুর। সেখান থেকে নারায়ণগড় বাজারের দিকে সামান্য এগোলেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বিদিশা গ্রাম। জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা। কটেজ দেখলে আপনি অভিভূত হবেন। শুধু তাই নয় থাকার জন্য সামান্য খরচ। মাথাপিছু থাকার খরচ ১৩০০ টাকা। যোগাযোগ করতে পারেন প্রিয়ম ভৌমিকের সঙ্গে। যোগাযোগ: +91 94747 58109। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/jXEvi8zNZ4WSfVur7। তাই যারা শহরের ব্যস্ততা কোলাহল থেকে নিজেকে একটু মুক্তি দিতে চান, তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন এই জায়গা। মন ভাল হয়ে যাবে।