শান্তিকেতনে আশ্রম প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা ছিল বোলপুরের রায়পুর জমিদারবাড়ির রাজবাড়ি। তবে এটা কী জমিদার বাড়ি নাকি রাজবাড়ি, এই নিয়ে একাধিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। কারও মুখে এটা একটা রাজবাড়ি, আবার কারও মুখে জমিদারবাড়ি। তবে এ তো গেল ঘুরে বেড়ানোর জায়গা। তবে আপনি কী জানেন টিভির পর্দায় যে সমস্ত সিনেমা দেখেছেন তার মধ্যে বেশ কয়েকটি শুটিং হয়েছে এখানেই।
advertisement
একসময় বহু সিনেমার শুটিং হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মৃণাল সেনের ‘খণ্ডহর’ সিনেমা। সময়টা তখন ১৯৮৪ সাল আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে বোলপুরের অদূরে রায়পুর রাজবাড়িতে খণ্ডহর ছবির শ্যুটিং করেছিলেন বিখ্যাত চিত্রনাট্য পরিচালক মৃণাল সেন। বোলপুরের রায়পুর রাজবাড়িতে নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমিদের নিয়ে খণ্ডহর চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করেছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন। তাই এবার বোলপুর গেলে এই জায়গা যেতে একদম ভুলবেন না কিন্তু। বোলপুর স্টেশন থেকে যে কোন টোটো করে আপনি পৌঁছে দিতে পারবেন এই রাজবাড়ি।
তবে এবার প্রশ্ন এখন যদি কেউ এই রায়পুর জমিদার বাড়ি অথবা রাজবাড়ীতে শুটিং করতে আসেন তাহলে তাদের কত টাকা বরাদ্দ করা হবে? বর্তমানে রায়পুর জমিদার বাড়ির পরিচালনার জন্য যৌথভাবে রয়েছেন রায়পুর সিংহ পরিবার তার পাশাপাশি রায়পুর যুব সংঘ। তাদেরই এক সদস্য অঙ্কুশ দাস জানান, এখানে যদি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষামূলক শুটিং করতে আসেন তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যদি যথার্থ চিঠি থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয় না। এছাড়াও সাধারন পর্যটকের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য নেই। পার্কিং করার জন্যও যথার্থ জায়গা রয়েছে সেখানেও কোনও টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
তবে আপনি যদি এখানে প্রি-ওয়েডিং ফটোশুট অথবা পোস্ট-ওয়েডিং করতে চান তাহলে আপনাকে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা দিতে হবে। তবে সেই দিন সংখ্যা যদি বাড়ে অথবা আপনি কতটা এই জমিদার বাড়ির জায়গা জুড়ে শুটিং করতে চাইছেন সেগুলি দেখে আলোচনা সাপেক্ষে একটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পাশাপাশি যদি কোনও ছোট সিনেমার শুটিং হয় তাহলে সেক্ষেত্রে প্রত্যেক দিনের জন্য ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে শুটিংয়ের ইউনিট যদি বড় হয় এবং দিনের সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে টাকার পরিমান আরও কিছুটা হলেও বাড়বে। তবে সেক্ষেত্রে পুরো বিষয়টা আলোচনা সাপেক্ষ।
সৌভিক রায়






