Weekend Trip: কলকাতার কাছেই 'এই' ৬ ভার্জিন সি-বিচ, কাপল ফ্রেন্ডলি রিসর্টে নির্জনতা সঙ্গী, ১৫ অগাস্টের লং উইকেন্ডে ঘুরে আসুন
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Weekend Trip: দিঘার কোলাহল থেকে দূরে, সমুদ্র আর প্রকৃতির মিশেলে গড়ে ওঠা এই নির্জন সৈকতগুলি অনেকর অচেনা। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল দিঘার আশেপাশের এমন ছটি স্পট, যেখানে একান্তে সময় কাটান যায় পরিবার ও ভালবাসার মানুষের সঙ্গে।
*দিঘা মানেই ভিড়, দোকানপাট আর কোলাহল! যারা একটু শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চান, পরিবার নিয়ে কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে, তাদের জন্যও দিঘা ও তার আশেপাশে রয়েছে একাধিক শান্ত নির্জন ডেস্টিনেশন। দিঘার কোলাহল থেকে দূরে, সমুদ্র আর প্রকৃতির মিশেলে গড়ে ওঠা এই নির্জন সৈকতগুলি অনেকর অচেনা। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল দিঘার আশেপাশের এমন ছটি স্পট, যেখানে একান্তে সময় কাটান যায় পরিবার ও ভালবাসার মানুষের সঙ্গে।
advertisement
*তালসারি সমুদ্র সৈকত, দিঘা থেকে মাত্র ১১ কিমি দূরে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে অবস্থিত তালসারি। একদিকে ঝাউ, শাল আর পিয়ালের ঘন বন, অন্যদিকে নরম বালির বেলাভূমি আর সফেন ঢেউয়ের ছোঁয়া, সব মিলিয়ে স্বপ্নের মত পরিবেশ। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে দুপুরের খাবার, স্থানীয় বাজারে অস্থায়ী হোটেলেই মেলে পরিষ্কার ও সুস্বাদু খাবার। যারা ফ্যামিলি নিয়ে নিরিবিলি সময় কাটাতে চান বা বাচ্চাদের নিয়ে একটু গাছ-পাখি-সমুদ্র ঘেঁষা পরিবেশে হাঁটতে চান, তাদের জন্য তালসারি আদর্শ গন্তব্য।
advertisement
*উদয়পুর সমুদ্র সৈকত, দিঘা থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত উদয়পুর সৈকত পরিচ্ছন্নতা ও প্রশান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। এখানে তুলনামূলকভাবে কম পর্যটক আসেন, তাই ফ্যামিলির সঙ্গে নির্ভারভাবে সময় কাটান যায়। সকাল-সন্ধ্যার হাঁটা, বাচ্চাদের বালিতে খেলা কিংবা খোলা আকাশের নিচে এক কাপ চা—সবকিছুতেই মেলে প্রশান্তি।
advertisement
*চাঁদপুর সমুদ্র সৈকত, তাজপুর থেকে মাত্র মিনিট পাঁচেক হাঁটা পথ। চাঁদপুর সৈকতে বসে উপভোগ করা যায় ঢেউয়ের শব্দ, হালকা হাওয়া আর সূর্যাস্তের সৌন্দর্য। যদিও সমুদ্রে নামা ঝুঁকিপূর্ণ, তবে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গে শান্ত বসে থাকা, ছবি তোলা বা নরম বাতাসে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ। এটি একদম নতুন হলেও স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ।
advertisement
*জুনপুট সমুদ্র সৈকত, কাঁথি থেকে মাত্র ৯ কিমি আর দিঘা থেকে ৪১ কিমি দূরে অবস্থিত জুনপুট হল প্রকৃতি ও নির্জনতার এক অনবদ্য সমাহার। ফ্যামিলির ছোটরা কাঁকড়া দেখতে মেতে উঠবে, আর বড়রা মৎস্য গবেষণাগার ও ছোট মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে পারেন। ঝাউগাছে ঘেরা ছায়াময় পরিবেশে পিকনিক বা দিনভর রিল্যাক্স করা যায় সহজেই। ভাটা ও পূর্ণিমার সময়ের সাগরের রূপ দেখার অভিজ্ঞতা মনে থেকে যাবে অনেকদিন।
advertisement
*বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত, জুনপুট থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিমি দূরে বাঁকিপুট এখনও মূলধারার পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেয়নি, তাই এখানে রয়েছে নির্জনতা ও অনাবিষ্কৃত সৌন্দর্য। ফ্যামিলি নিয়ে নিরিবিলি ছুটি কাটাতে চাইলে ঝিনুক রিসর্টে থাকার সুযোগ রয়েছে। সৈকতের ধারে দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়েরা বালিতে খেলা করতে পারে, আর বড়রা সাগর দেখা আর ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত থাকতে পারেন।
advertisement
*দরিয়াপুর, বাঁকিপুট থেকে ৪ কিমি আর কাঁথি থেকে ১৪ কিমি দূরে দরিয়াপুর শুধু সমুদ্র নয়, ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকদেরও এক বড় আকর্ষণ। ১৮৬১ সালের পুরনো লাইটহাউস ও ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কপালকুণ্ডলা’ কাহিনির স্মৃতিবিজড়িত মন্দির এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। প্রতি বছর ২৬ চৈত্রে বসে বিশাল বঙ্কিমমেলা। ফ্যামিলির সবাই মিলে ইতিহাস, প্রকৃতি ও সমুদ্রের একত্র অভিজ্ঞতা পেতে পারেন এখানে।
advertisement
*এক পর্যটক তনিমা মাইতি বলেন, "আমরা ভাবছিলাম পরিবারের সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে যাব, কিন্তু বেশি ভিড় আমাদের পছন্দ নয়। এইবার আমরা জুনপুট, বাঁকিপুট আর দরিয়াপুর ঘুরলাম। সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা। ছেলেমেয়েরা প্রকৃতির কাছে এসে অনেক কিছু শিখেছে, আর আমরা বড়রাও সত্যিকারের ছুটি উপভোগ করলাম। এমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর শান্ত জায়গা আজকাল বড় কম দেখা যায়।"