বিকেল বেলায় এখানে একপ্রকার পর্যটকদের মেলা বসে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজের আরেকটি মূল আকর্ষণ নদের নানা প্রজাতির টাটকা মাছ। চিংড়ি, রুই, কাতলা, বোয়াল, বান, সিঙ্গি, বাটা ইত্যাদি নানান প্রজাতির টাটকা মাছ নিয়ে পসরা সাজায় ব্যারেজের মৎস্যজীবীরা। বহু মানুষ ভিড় করে পছন্দসই মাছ কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও বর্ষা স্পেশাল ভুট্টা পোড়া, আইসক্রিম, ফুচকা, পাপড়ি চাট, ঝাল মুড়ি ইত্যাদি নানান খাবারের দোকান বসে এখানে। জলাধারের ওই মনোরম প্রকৃতির অনুভূতির পাশাপাশি মুখরোচক খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে।
advertisement
তবে এই নদী এবং নদের পার্থক্যটা অনেকেরই অজানা। চলতি কথায় নদ কেও আমরা নদী বলেই অভিহিত করি। তবে কেন কিছু নদীকে নদ এবং কিছু নদীকে নদী বলা হয় জানেন। যে জলধারার শাখা প্রশাখা থাকে তাকে নদী বলা হয়। আর যে জলধারার সাধারণত কোনও শাখা থাকে না, তাকে নদ বলা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর ও অজয় নদের ভৌগোলিক স্থান বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার মানচিত্রে পড়ে। দামোদর নদের ওপর ব্যারেজ গড়ে তোলা হয় ১৯৫৫ সালে।
ওই জলাধার থেকে শিল্প ও কৃষিকার্যের জন্য জল সরবরাহ করা হয়। ব্যারেজে মোট ৩৪টি লক গেট রয়েছে। বিহার-ঝাড়খণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে ব্যারেজের জলাধার ভরে ওঠে। তখনই জল নিয়ন্ত্রণ করতে লকগেট খুলে জল ছাড়া হয়। ওই নিম্নমুখের জল প্রবাহ অশান্ত রূপে বয়ে চলে।কিছু মানুষ নদীর রুদ্র ও অশান্ত রূপের মধ্যে সৌন্দর্য খুঁজে পান। আবার ব্যারেজের জলাধারের শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপ পছন্দ করেন কিছু কিছু মানুষ।