মূলত শীতকালে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে সেই জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য। তাই এবার আপনার চেনা বেশ কয়েকটি জায়গা বাদ দিয়ে এবার চলে আসুন এই জায়গায়। একদিকে নদী অন্যদিকে প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা আপনাকে মুগ্ধতা দেবে। তাই যদি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তবে চলে আসুন এখানে।
কলকাতার খুব কাছেই এমন সুন্দর একটি জায়গা। বয়ে চলেছে নদী, নদীর ঘাটে বাঁধা সারি দিয়ে নৌকো। নদীতে নৌকা বিহারের পাশাপাশি মেতে উঠতে পারবেন অনাবিল আনন্দে। শুধু তাই নয়, পাশেই রয়েছে সরিষার ক্ষেত। সরিষার ঝাঁঝালো গন্ধের সঙ্গে প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে একটা দিন আনন্দে কাটাতে পারবেন এখানে। মন ভরে ছবি তুলতে পারবেন। সারাটা দিন কীভাবে কেটে যাবে তা আপনি বুঝতেও পারবেন না!
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা। কলকাতার খুব কাছেই নদী এবং হলুদ সরিষার ক্ষেত্রে এক দুর্দান্ত দৃশ্য। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামকে বিভাজন করেছে সুবর্ণরেখা নদী। নদীতে রয়েছে বেশ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজ। শীতের সময়ে নদীর এক শান্ত প্রবাহ। হালকা মৃদু শীতল বাতাসের সঙ্গে নদীর কুলুকুলু শব্দ আপনাকে বেশ আনন্দ দেবে। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ। শুধু নদী কিংবা সরিষার ক্ষেত দেখা নয়, পাশেই রয়েছে পার্ক, ইতিহাস ক্ষেত্র। একদিনে ঘুরে দেখতে পারবেন সব কটাই।
আরও পড়ুন: ২৫১টি আখড়া নিয়ে শুরু জয়দেব কেন্দুলি মেলা! বাউল-ফকিরের ভিড়ে জমজমাট
ছুটির দিনে যদি কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন, তবে ঘুরে যান এই জায়গা থেকে। নিঃসন্দেহে মন ভাল হয়ে যাবে আপনার। কেটে যাবে সারা সপ্তাহের কাজের ক্লান্তি। কলকাতা থেকে সড়ক পথের মাত্র দূরত্ব তিন ঘণ্টার। ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে খড়গপুর স্টেশনে। সেখান থেকে বাসে পৌঁছানো যাবে ভসরা, সেখানেই রয়েছে এই জায়গা। অনেক পাশে অথবা পার্সোনাল গাড়িতে পৌঁছানো যাবে এখানে।
রঞ্জন চন্দ