সূর্যাস্ত কিংবা সূর্যদয়ের সোনালী আভার সঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জন যেন সৃষ্টি করে এক অপরূপ মেল বন্ধন। পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের অর্থ উপার্জনের অন্যতম পথ হল ফুল চাষ। এই ব্লকের ফুল পাড়ি দেয় ভিন রাজ্যে ও বিদেশে। রেল পথে পাঁশকুড়া স্টেশনের পরের স্টেশনই হল ক্ষীরাই। সেখান থেকে মিনিট খানেকের লাল মাটির মেঠো পথ দিয়ে হাঁটলেই যেন দেখা যাবে ফুলের স্বর্গরাজ্য। বিঘার পর বিঘা জায়গা জুড়ে সেজে উঠেছে লাল- নীল- সবুজের মেলা। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুর দিকে লাগানো হয় ফুল গাছের চারা। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে। সেজে ওঠে গোটা এলাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: তুলে রাখা শীতের পোশাক, লেপ, কম্বল বের করে গায়ে দেওয়ার আগে এই কাজ অবশ্যই করুন!
চলতি বছরে একদিকে বন্যা এবং অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানিতে থমকে যায় স্রোত। তাই বর্তমানে নভেম্বর মাসে চলছে ফুল গাছ লাগানোর কাজ। এলাকার প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার চাষি এই কাজে যুক্ত। এলাকার ফুল চাষিরা জানান, “বন্যা এবং একদিকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ফলে এ বছর দেরিতে ফুল ফুটবে। এ বছর এখনও পর্যন্ত গাছ লাগানোর কাজ চলছে। তাই ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারির দিকে সেজে উঠবে ক্ষীরাই। ওই এলাকার চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের রুজি রুটি এই ফুল চাষ থেকে।”
কেউবা আবার চন্দ্রমল্লিকা, কেউ ডালিয়া, আবার কেউবা বিভিন্ন বর্ণের এস্টার। এই নিয়েই শীত পড়লেই সেজে ওঠে ক্ষীরাই। ইতিমধ্যে এই পর্যটন স্থলকে নিয়ে হোমস্টে চালু করেছে রাজ্য সরকার। আগামী দিনে আরও একাধিক উদ্যোগ নিতে চলেছে সরকার। চলতি বছর ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ক্ষীরাই এর ফুলের উপত্যকা। ফুল প্রেমী পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে না। এবার ফুল কিছুটা দেরিতে ফুটবে। তাই ফুল প্রেমী পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।
সৈকত শী