সে কারণে দর্শনীয় স্থানের মতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ওই সব টিলা বা পাহাড়। মূলত গত কয়েক বছর ধরে ছোট বড় টিলাময় ভূখণ্ড দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বর একটি জনপ্রিয় স্পটে পরিণত হয়েছে। দুবরাজপুর পুরসভা স্নানাগার, শৌচাগার পানীয় জল-সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক সুবিধা দেওয়ার জন্য পর্যটকদের পাহাড়েশ্বরে আসার বহর আরও বাড়ছে দিন দিন। পাহাড়েশ্বরে তাই ফাঁকা থাকার কথা নয়। ফাঁকা থাকেও না কোনওদিন। নানা রঙে হাজির বহু ট্যুরিস্ট বাস, ছোট চার চাকা গাড়ি। অনেকে আবার পৌঁছে যায় স্কুটি অথবা বাইক নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে ডিজিট্যাল পেমেন্ট বাড়তেই বাজার-ঘাটে নতুন অশান্তি! মহা ঝামেলায় ক্রেতা-বিক্রেতারা
প্রশ্ন হল কীভাবে পৌছাবেন এই বীরভূমের দুবরাজপুর। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে যেকোনও গাড়ি ভাড়া করে আপনি অনায়াসেই পৌঁছে যেতে পারবেন এখানে। সিউড়ি থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার রাস্তা এটি। চলতে চলতে দেখতে পাবেন এক সুবিশাল লাল তোরণ। বিশাল ফটক খুলে স্বাগত জানাবে হেতমপুর রাজবাড়ি। বাংলার এক প্রত্যন্ত প্রান্তে পথের মাঝে হঠাৎই এই সুবিশাল স্থাপত্য দেখে চমকে উঠতে হবে বইকি! ফটকের উপরে এলোমেলো আগাছা। তোরণের উপরে পাথরের তৈরি ছোট ছোট পরি। বনেদিয়ানার আভিজাত্য ফুটে উঠছে কোনায় কোনায়। তোরণেই উঁকি দিচ্ছে ফলক। বোঝা যাবে, চক্রবর্তী পরিবার এই রাজবাড়ি তৈরি করেছিল। ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পাবেন কয়েকটি গাড়ির।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্স এর মত সাইরেন বাজিয়ে ছুটে আসছে টোটো,কারণ জানলে অবাক হবেন
ধুলো পড়ে যাওয়া সেই সব গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে মলিন এক পার্কিং লটে। আর একটু এগোতেই জ্বলজ্বল করে উঠবে সুবিশাল রাজবাড়ির মূল অংশ। গথিক আদলে তৈরি সেই রাজবাড়ি দু’ভাগে ভাগ করা আছে। এক দিকে এখন বিএড কলেজ চলে, অন্য দিকে স্কুল। ভিতরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে একটি সুপ্রাচীন রথ। তাহলে এই গ্রীষ্মের ছুটিতে দুবরাজপুর এলে আপনার এক ঢিলে দুটি জিনিস দেখা হয়ে যাবে। তাই বীরভূম এলে এই জায়গা গুলি দেখতে ভুলবেন না।এই সমস্ত জায়গা হতে পারে আপনার ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন। বাড়ির বাচ্চারা বেশ আনন্দ এর সঙ্গে উপভোগ করবে পুরো বিষয়টি।
সৌভিক রায়