এখনও রাজ পরিবারের বেশ কয়েকটি উত্তর পুরুষের পরিবার বসবাস করেন এখানে। তবে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ জায়গায় এটি। পাহাড় সমুদ্র কিংবা লংড্রাইভ বাদ দিয়ে ঘুরে আসুন ইতিহাস প্রান্তর থেকে। ইতিহাসের নানা গঠনশৈলী আপনাকে নিয়ে যাবে সুদূর অতীতে।
advertisement
মন ভরে ছবি তুলুন, পরিবারের সকলকে নিয়ে কাটান এখানে। কলকাতা থেকে মাত্র তিন ঘন্টার দূরত্বে রয়েছে প্রাচীনকালের রাজপ্রাসাদ। বহন করে চলেছে এককালে ইতিহাসের নানা কথা। দেওয়ালের প্রতিটি ইটে লেগে রয়েছে ইতিহাস। এখনও একাধিক খিলানযুক্ত এই রাজপ্রাসাদ ঘুরে দেখলে আপনি মুগ্ধ হবেন। পুরানো দিনের অ্যাম্বিয়েন্স উপভোগ করবে এখানে। রয়েছে পায়রার বক বকম আওয়াজ, ডানা ঝাপটার শব্দ এমনকি পুরানো দেওয়ালে গজিয়ে ওঠা ছোট ছোট লতা পাতা।
রাজপ্রাসাদের মধ্যে থাকা রাজাদের নানান জিনিস আপনাকে অবাক করবে। বংশ পরম্পরায় বসবাস রাজ পরিবারের সদস্যদের। তবু ঘুরে দেখার জন্য এক অন্যতম জায়গা। শুধু ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে নয়, গবেষকদের কাছে গবেষণার এক অন্যতম জায়গা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মনোহরপুরে রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি।
বেশ কয়েকশো বছর পুরানো এই বাড়ি। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে বাংলা ও ওড়িশা সীমান্ত এলাকা দাঁতনের মনোহরপুরে রয়েছে প্রাচীন রাজবাড়ি। রয়েছে রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত ভগ্নপ্রায় নাট্যশালাও। সপ্তাহান্তে নিজেদের কর্মব্যস্ততা থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসের অন্যতম এই নিদর্শন। ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, মনোহরপুর রাজবাড়ির ইতিহাসজুড়ে আছে অগাধ কিংবদন্তী।
১৫৭৫ সালে মোগল-পাঠানের যুদ্ধের সময় আকবরের সেনাপতি টোডরমল পরিচালিত সেনাবাহিনীর অন্যতম সেনা ছিলেন লছমিকান্ত উত্তররাও। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও রাজস্থান নিবাসী লছমিকান্ত আর স্বদেশে ফেরেননি। পরবর্তীতে দাঁতনে জমিদারির প্রতিষ্ঠা করেন। মনোহরপুরে গড়ে ওঠে তাদের বসত ভিটে এই রাজবাড়ি। শুধু ঘুরে দেখা নয় ফটোশ্যুটের এক দুর্দান্ত জায়গায় এটি।
এছাড়াও সারাটা দিন ইতিহাসের সঙ্গে কাটান। মন ভাল হয়ে যাবে আপনার। ট্রেন কিংবা বাস বা অন্যান্য গাড়ির যাত্রাপথ অত্যন্ত সুলভ। ট্রেনে এলেই আপনি নামতে পারেন বেলদা কিংবা দাঁতন স্টেশনে। সেখান থেকে বাসে চেপে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মোগলমারী। অথবা খড়্গপুর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য কিছুটা দূরে রয়েছে এই ইতিহাসক্ষেত্র। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/zCxQ25vbkAvH4PHF9
রঞ্জন চন্দ